International News

ফেব্রুয়ারিতে ট্রাম্পকে ভারতে আসার আমন্ত্রণ

ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ইমপিচমেন্ট শুনানি শুরু হওয়ার কথা চলতি সপ্তাহে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৫ জানুয়ারি ২০২০ ০১:৫৬
Share:

ডোনাল্ড ট্রাম্প

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ভারত সফরের জন্য সক্রিয়তা শুরু হয়েছে দ্বিপাক্ষিক স্তরে। কূটনৈতিক সূত্রের খবর, ফেব্রুয়ারির শেষে ট্রাম্প যাতে নয়াদিল্লি আসেন, সে জন্য সম্প্রতি ওয়াশিংটনে গিয়ে দ্বিপাক্ষিক ‘টু প্লাস টু’ বৈঠকের ফাঁকে আমন্ত্রণ জানিয়ে এসেছেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ। গত বছর প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল আমেরিকার প্রেসিডেন্টকে। কিন্তু হোয়াইট হাউসের তরফ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়, ওই সময়ে ট্রাম্প আসতে পারবেন না।

Advertisement

এটাও হিসেবের মধ্যে রাখা হচ্ছে যে, আমেরিকার ঘরোয়া রাজনীতি এবং বিদেশনীতির প্রশ্নে এখন যথেষ্ট ঘটনাবহুল এবং স্পর্শকাতর সময় চলছে। ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ইমপিচমেন্ট শুনানি শুরু হওয়ার কথা চলতি সপ্তাহে। পাশাপাশি ইরানের সঙ্গে আমেরিকার সংঘাতের পর উপসাগরীয় অঞ্চলের পরিস্থিতি এখনও যথেষ্ট উত্তপ্ত। বিদেশ মন্ত্রকের এক কর্তার কথায়, ‘‘দু’দেশের মধ্যে কূটনৈতিক চ্যানেলে আলোচনা চলছে ট্রাম্পের সফর নিয়ে। এখনও পারস্পরিক সুবিধাজনক তারিখ পাওয়া যায়নি।’’ গত নভেম্বরে এক প্রশ্নের উত্তরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেছিলেন, ‘‘উনি (নরেন্দ্র মোদী) চান, আমি ভারতে যাই। কোনও একটা সময়ে ভারতে যাওয়ার কথা ভাবছি।’’

গত সেপ্টেম্বরে টেক্সাস এবং নিউ ইয়র্কে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ট্রাম্পের বৈঠক হয়। দু’জনের মধ্যে ঘনিষ্ঠতার ছবিও তুলে ধরা হয় পর্যাপ্ত ভাবেই। কূটনৈতিক শিবিরের বক্তব্য, এই মুহূর্তে আমেরিকার প্রেসিডেন্টের একটি সফর অর্থনৈতিক এবং বিদেশনীতির প্রশ্নে কোণঠাসা মোদী সরকারকে কিছুটা অক্সিজেন জোগাতে পারে। কাশ্মীর থেকে ৩৭০ অনুচ্ছেদ প্রত্যাহার, নয়া নাগরিকত্ব আইনকে ঘিরে দেশজোড়া ক্ষোভের বাতাবরণে সমালোচনার সুর শোনা গিয়েছে মার্কিন কংগ্রেসের তরফেও। সেই ক্ষত মেরামতির জন্য সাউথ ব্লকের প্রয়োজন, দিল্লির মাটিতে ভারত-মার্কিন শীর্ষ পর্যায়ের মৈত্রীর একটি ছবি। আমেরিকার সঙ্গে সুবিধাজনক শর্তে বাণিজ্যচুক্তি করার জন্যও গত প্রায় এক বছর ধরে চেষ্টা করছে ভারত। কূটনৈতিক মহলের বক্তব্য, পাকিস্তান কাঁটা সামাল দেওয়া, আফগানিস্তানে নিজেদের প্রভাব বাড়িয়ে বাণিজ্য এবং নিরাপত্তাকে সুনিশ্চিত করা, চিনের একাধিপত্য কমানোর মতো বিষয়ে এখন ওয়াশিংটনের দিকে তাকিয়ে ভারত।

Advertisement

আরও পড়ুন: মোদী-বিরোধী মিছিলে কেন, প্রশ্ন প্যারিসেও

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement