ছবি এএফপি।
নতুন করে দেশে কোনও করোনা-সংক্রমণের খবর নেই বলে আজও জানাল চিন। ফলে এই নিয়ে পরপর দু’দিন সংক্রমিতের সংখ্যা বাড়ল না শি চিনফিংয়ের দেশে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যদিও ‘বিশ্বকে করোনা-সঙ্কটের মুখে ঠেলে দেওয়ার জন্য’ গত কাল সরাসরি চিনকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছেন। বলেছেন, ‘‘বেজিং করোনাভাইরাস সম্পর্কিত প্রাথমিক তথ্য লুকোনোর ফলে বিশ্বকে আজ এর মাসুল দিতে হচ্ছে!’’ মার্কিন প্রেসিডেন্টের এই দাবি ‘দোষ এড়ানোর ফন্দি’ বলে পাল্টা জবাব দিয়েছে বেজিং।
‘‘সময় মতো সব তথ্য জানা গেলে করোনা-সংক্রমণকে চিনের উৎস-অঞ্চল (উহান)-এর মধ্যেই আটকে রাখা যেত বলে বৃহস্পতিবার হোয়াইট হাউসের সাংবাদিক বৈঠকে দাবি করেন ট্রাম্প। তাঁর আরও দাবি, প্রাথমিক স্তরে ‘হুইসলব্লোয়ার’-দের কণ্ঠরোধের চেষ্টা করেছে চিন সরকার। এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন চিনের বিদেশমন্ত্রী। তাঁর দাবি, এই অতিমারির বিরুদ্ধে চিনের লড়াইকে খাটো করতেই তাদের আক্রমণ করছে আমেরিকা।
১৪৫টি দেশে থাবা বসিয়েছে করোনাভাইরাস। মৃত্যু হয়েছে কমপক্ষে দশ হাজার মানুষের। বিশ্বজুড়ে সংক্রমিত ২ লক্ষ ৩২ হাজার। যদিও সম্প্রতি করোনা-সংক্রমণে চিনের মৃত্যু-হারে উল্লেখযোগ্য হ্রাস নজরে এসেছে। সে দেশের জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশনের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, করোনায় দৈনিক মৃত্যুর গড়ও অনেক কমে গিয়ে দৈনিক তিন জনের গড়ে এসে দাঁড়িয়েছে।
চিনে কমপক্ষে ৮১ হাজার মানুষের করোনা-সংক্রমিত হওয়ার খবর থাকলেও এখন সেখানে সংক্রমিতের সংখ্যা সাত হাজারে নেমে এসেছে। জানুয়ারির শেষ ভাগে চিনের উহান থেকে সংক্রমণ ছড়ানোয় উহান এবং হুবেই প্রদেশ তালাবন্ধ করে দিয়েছিল সরকার। গৃহবন্দি হয়েছিল কমপক্ষে ৫ কোটি ৬০ লক্ষ মানুষ। তবে ইদানীং যাতায়াতে নিষেধাজ্ঞা অনেকটাই হাল্কা করেছে সরকার। চিনে সংক্রমিতের সংখ্যা নিম্নমুখী হওয়ায় স্বস্তি বাড়লেও নয়া তথ্য জানাচ্ছে, ইউরোপে এই সংক্রমণ-সঙ্কট এশিয়াকে ছাপিয়ে গিয়েছে। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, চিনে এখনও পর্যন্ত মৃত ৩,২৪৮। বৃহস্পতিবারই তা ছাপিয়ে ইটালিতে মৃত ৩,৪০০। সংক্রমণ রোধ করতে চিনের দেখানো পন্থা অবলম্বন করে ইতিমধ্যেই শহর তালাবন্ধের পথে হেঁটেছে ইটালি-সহ বেশ কয়েকটি দেশ।