মেনেই নিলেন শেষ পর্যন্ত। সাধের প্রস্তাবিত স্বাস্থ্য বিল তো আগেই বাতিল হয়ে গিয়েছিল। এ বার সেনেটের পেশ করা বিলের হাল দেখে বললেন, ‘‘সামনের পথটা দেখছি খুবই বন্ধুর!’’
প্রচারের সময় থেকেই ডোনাল্ড ট্রাম্প বলে এসেছেন, প্রেসিডেন্ট হয়েই ওবামা জমানার স্বাস্থ্য প্রকল্প খারিজ করে নতুন স্বাস্থ্য বিল নিয়ে আসবেন। কিন্তু নিজের দলেরই বেশির ভাগ সদস্যের কাছ থেকে সমর্থন পাওয়া যাবে না বুঝতে পেরে গত মার্চ মাসে সেনেটে পেশই করা যায়নি এই নতুন বিল বা ‘ট্রাম্প কেয়ার’।
প্রেসিডেন্টের প্রস্তাবিত বিল বাতিল হয়ে গেলেও গত বৃহস্পতিবার একটি স্বাস্থ্য বিল পেশ করেছে মার্কিন সেনেট। ট্রাম্পের প্রস্তাবিত বিলের থেকে সেটি অনেকটাই আলাদা। কিন্তু বেশ কয়েক জন বড় মাপের রিপাবলিকান নেতা সেই বিলেরও বিরোধিতা করেছেন। চার দুঁদে কট্টরপন্থী রিপাবলিকান— কেন্টাকির র্যান্ড পল, টেক্সাসের টেড ক্রুজ, উটার মাইক লি ও উইসকনসিনের রন জনসন তো প্রথমেই বলে দিয়েছেন, বিলটিতে নানা বিতর্কিত বিষয় রয়েছে। যেগুলো না পাল্টালে বিলটিকে সমর্থন করার প্রশ্নই ওঠে না। এই চার জনের সুরে সুর মিলিয়েছেন আরও পাঁচ সেনেটর। তাঁরাও বলছেন, গর্ভাবস্থা ও প্রসবকালীন যে সব সুযোগসুবিধে ওবামা কেয়ারে ছিল, সেগুলো এই প্রস্তাবিত নতুন বিলে একদম বাতিল করে দেওয়া উচিত হয়নি। র্যান্ড পলের কথায়, ‘‘ওবামা কেয়ারের বিরোধিতা করাই এই বিলটির একমাত্র কাজ নয়। মানুষ যাতে সুযোগসুবিধে পান, সে দিকেও আমাদের নজর দিতে হবে।’’
হোয়াইট হাউস সূত্রের খবর, প্রথমে ঘনিষ্ঠ মহলে বিলটিকে ‘যাচ্ছেতাই’ বলেছিলেন প্রেসিডেন্ট। কিন্তু কাল টুইট করেন, ‘‘সেনেটের হেল্থ কেয়ার বিলটিকে পুরোদস্তুর সমর্থন করছি। মনে রাখবেন, ওবামা কেয়ারের দিন শেষ!’’ গতকাল এক সাক্ষাৎকারেও তিনি বলেন, ‘‘যে সব রিপাবলিকান সদস্য বিলটির বিরোধিতা করছেন, তাঁরা খুবই ভাল মানুষ। আসলে তাঁরা বিলটির বিরোধিতা করছেন না, কয়েকটি পরিবর্তন আনতে চাইছেন মাত্র।’’ তারপরেই তাঁর স্বীকারোক্তি, ‘‘নতুন বিল আনার পথটি সত্যি খুব বন্ধুর। তবে এই কঠিন সময়ে আমি সেনেটের পাশে আছি। বিলটি পাশ করাতে সব রকম সাহায্য করতে আমি প্রস্তুত।’’
আর যাঁর বিল বাতিল করা নিয়ে এত কাণ্ড, সেই প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ফেসবুকে বলেছেন, ‘‘আশা করি সেনেটের শুভবুদ্ধিসম্পন্ন সদস্যরা বিলটি পাশ হতে দেবেন না। কারণ এই বিল পাশ হলে বয়স্ক, অসুস্থ ও ভাবী মা-বাবাদের সর্বনাশ!’’