ডোনাল্ড ট্রাম্প।
তক্কে তক্কে ছিলেন। অবশেষে নির্বাচনের তিন মাস বাকি থাকতে বৃহস্পতিবার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে সরাসরি প্রশ্নটা করেই ফেললেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত মার্কিন সাংবাদিক এস ভি ডাটে। ভরা সাংবাদিক বৈঠকে রীতিমতো বোমা ফাটালেন— ‘‘এই যে সাড়ে তিন বছর ধরে (হোয়াইট হাউসে আসা ইস্তক) দেশের মানুষের সঙ্গে লাগাতার মিথ্যাচার করে আসছেন, সে জন্য আপনার অনুশোচনা হয়নি?’’
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তখন সবে রোজকার ব্রিফিং শেষ করে সাংবাদিকদের প্রশ্ন নিতে শুরু করেছেন। গোড়াতেই ধাক্কা। এমন একটা প্রশ্নবাণে স্পষ্টতই হকচকিয়ে গেলেন ট্রাম্প। কিন্তু তা-ও ওই কয়েক সেকেন্ডের জন্য। তার পরেই ফিরলেন স্বমেজাজে। যেন প্রশ্নটা ধরতেই পারেননি! পাল্টা ওই সাংবাদিককেই প্রশ্ন ছুড়লেন ট্রাম্প— ‘‘কিসের কথা বলছেন?’’ একটুও ঘাবড়ে না-গিয়ে সাংবাদিক ফের বললেন— ‘‘এই যে নাগাড়ে মিথ্যে প্রতিশ্রুতি, দেশের মানুষের সঙ্গে অসৎ আচরণ!’’ ধৈর্য ধরে শুনলেন প্রেসিডেন্ট। তবু যেন পুরোটা বুঝলেন না। আবার পাল্টা ট্রাম্পের— ‘‘কার কথা বলছেন? কে করেছে মিথ্যাচার?’’ সাংবাদিক তখনও অবিচল। ট্রাম্পের চোখে চোখ রেখেই ডাটে বললেন, ‘‘আপনার কথাই বলছি। এত মিথ্যের পরেও অনুতাপ হয় না আপনার? খারাপ লাগে না!’’
আরও পড়ুন: পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই, ভারতের করোনা টিকা ‘নিরাপদ’, বলছেন বিজ্ঞানীরা
ব্যস। এখানেই ইতি। বিব্রত ট্রাম্প সরাসরি প্রশ্নকর্তাকে এড়িয়ে গিয়ে সপ্রশ্ন আঙুল তুললেন পরবর্তী সাংবাদিকদের দিকে। প্রেসিডেন্টের শরীরী ভাষাতেই স্পষ্ট, এমন ‘অবান্তর’ প্রশ্নের উত্তর দিতে রাজি নন তিনি।
হোয়াইট হাউস থেকে ‘খালি হাতেই’ ফিরতে হল হোয়াইট হাউসের সাংবাদিককে। আর ফিরেই টুইট করলেন— ‘‘পাঁচ বছর ধরে এই প্রশ্নটাই আমি করতে চাইছিলাম।’’ কিন্তু উত্তর পেলেন কই! পরে এ নিয়ে এক মার্কিন সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ডাটে জানালেন, গত মার্চে এই প্রশ্নটাই তিনি করতে চেয়েছিলেন। পারেননি। গোড়াতেই তাঁকে আটকে দেওয়া হয়েছিল। ‘‘এ বার বোধ হয় প্রেসিডেন্ট আমাকে চিনতে পারেননি,’’ বললেন ডাটে। তাঁর দাবি, প্রেসিডেন্ট শুধু তাঁর ‘পেটোয়া’ সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তর দিতেই বেশি স্বচ্ছন্দ বোধ করেন।
স্বাভাবিক ভাবেই ট্রাম্পের আচরণে বিস্মিত হননি সাংবাদিক ডাটে। ঘাবড়েও যাননি। বরং বললেন, আবার সুযোগ হলে এই প্রশ্নেরই উত্তর চাইবেন তিনি প্রেসিডেন্টের কাছে।