রেক্স টিলারসন ও ডোনান্ড ট্রাম্প। ফাইল চিত্র।
বিদেশ সচিব রেক্স টিলারসনকে বরখাস্ত করার ন’মাস পরও রাগ কমছে না মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের। টুইট করে নিজেরই নিয়োগ করা প্রাক্তন বিদেশ সচিবকে ‘অলস ও জড়বুদ্ধি সম্পন্ন’ বললেন তিনি। বৃহস্পতিবার রাতে তাঁকে ট্রাম্পের নির্দেশে বেআইনি কাজ করতে হত বলে অভিযোগ সামনে এনেছিলেন টিলারসন। সেই সমালোচনা সহ্য করতে না পেরেই নজিরবিহীন ভাষায় প্রাক্তন বিদেশ সচিবকে আক্রমণ করে বসলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। আর তার জন্য বেছে নিলেন টুইটারকেই।
ঝামেলা অনেক পুরনো হলেও তা নতুন করে মাথাচাড়া দেয় বৃহস্পতিবার রাতে। টেক্সাসে একটি অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে ট্রাম্পের সঙ্গে কাজ করার কিছু অভিজ্ঞতার কথা বলে ফেলেন টিলারসন। তাঁর কথায়, ‘‘ মাঝে মধ্যেই ট্রাম্প আমাকে বলত, ‘এটা করতে হবে, ওটা করতে হবে। আমি বলছি তাই করতে হবে’। আমি তখন বলতাম, মি: প্রেসিডেন্ট, আমি বুঝতে পারছি আপনি কী চাইছেন। কিন্তু এটা করা সম্ভব নয়, কারণ এটা বেআইনি।’’
ট্রাম্পকে নিয়ে টিলারসনের এই বক্তব্য সামনে আসার পরই টুইটারকেই পাল্টা আক্রমণের হাতিয়ার হিসেবে বেছে নিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। শুক্রবার নিজেরই প্রাক্তন বিদেশ সচিবকে তিনি বললেন, ‘অলস এবং জড়বুদ্ধি সম্পন্ন’।
আরও পড়ুন: এ বার কি ‘মিনি ম্যার্কেল’
মার্কিন প্রশাসনে এই রকম আক্রমণ ও পাল্টা আক্রমণের ঘটনা নজিরবিহীন। প্রাক্তন হলেও বিদেশ সচিবের মতো গুরুত্বপূর্ণ পদাধিকারীকে এই ভাষায় কথা বলা নিয়ে দেশের মধ্যে ফের সমালোচনা ও বিতর্কের মুখে পড়লেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
আরও পড়ুন: সতর্ক মাকরঁ, বন্ধ আইফেলও
অথচ ক্ষমতায় আসার পর পৃথিবীর অন্যতম বৃহৎ তেল সংস্থা এক্সন-এর শীর্ষকর্তা টিলারসনকে নিজেই উদ্যোগ নিয়ে বিদেশ সচিব পদে বসিয়েছিলেন ট্রাম্প। তখন তিনি টিলারসনকে বসেছিলেন, ‘আন্তর্জাতিক মানের খেলোয়াড়’। যদিও সেই মধুচন্দ্রিমা বেশি দিন স্থায়ী হয়নি। ঝামেলার জেরে ন’মাস আগে সমস্ত সৌজন্যতার বাইরে গিয়ে টুইট করে বিদেশ সচিবকে বরখাস্ত করেছিলেন তিনি। তখন থেকে শুরু হওয়া কাদা ছোড়াছুড়ি অবশেষে চরমে পৌঁছল ট্রাম্পের সাম্প্রতিক মন্তব্যে।