‘নরকযন্ত্রণা চিনের জন্য’, ফের সরব ট্রাম্প 

মার্চের মাঝামাঝি পর্যন্ত ট্রাম্প কিন্তু তেমন গুরুত্বই দেননি কোভিড-১৯-কে। এখন বলছেন, চিন চাইলেই এই অতিমারি রুখতে পারত।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ৩০ এপ্রিল ২০২০ ০৫:৫৩
Share:

n প্রতিদিনই এক ছবি। হোয়াইট হাউসের ওভাল অফিসে বৈঠকে বসেছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। পাশে ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স এবং সংক্রমণ বিশেষজ্ঞ ব্লাইথ অ্যাডামসন। এক কর্মী ছাড়া মুখে মাস্ক নেই কারও। মানা হচ্ছে না পারস্পরিক দূরত্ব বিধিও। বুধবার ওয়াশিংটনে। এএফপি

১৮ দিন আগেও ছিল ৫ লক্ষ। করোনা-আক্রান্তের সংখ্যা আজ তার দ্বিগুণ হয়ে ১০ লক্ষ ছাড়াল আমেরিকায়। সংবাদ সংস্থা রয়টার্সের হিসেব বলছে, সারা বিশ্বে মোট করোনা-আক্রান্তের এক-তৃতীয়াংশই এখন মার্কিন মুলুকে। লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে মৃতের সংখ্যাও। শেষ পাওয়া হিসেবে— ৬১ হাজার ছুঁইছুঁই। ইতিমধ্যেই যা ছাপিয়ে গিয়েছে ভিয়েতনাম যুদ্ধে মার্কিন প্রাণহানির রেকর্ডকে। এই পরিস্থিতিতে ফের চিনকেই একহাত নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বললেন, ‘‘আজ ওদের (চিন) জন্যই ১৮৪টি দেশ নরকযন্ত্রণা ভোগ করছে।’’

Advertisement

মার্চের মাঝামাঝি পর্যন্ত ট্রাম্প কিন্তু তেমন গুরুত্বই দেননি কোভিড-১৯-কে। এখন বলছেন, চিন চাইলেই এই অতিমারি রুখতে পারত। অথচ, একটি সংবাদমাধ্যম সূত্রের খবর, মার্কিন গুপ্তচর সংস্থা সিআইএ মার্চের আগেই ১২ বার ট্রাম্পকে এ নিয়ে সতর্ক করেছিল! প্রেসিডেন্ট আমলই দেননি।

অভিযোগ, আমেরিকা এখন ব্যাপক স্বাস্থ্যকর্মী-সঙ্কটে ভুগছে। বিশ্বমানের চিকিৎসা-বন্দোবস্ত সত্ত্বেও কেন এত জনকে করোনায় মরতে হল, সে প্রশ্নও উঠছে। আমেরিকার ‘সেন্টারস ফর ডিজ়িজ় কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন’ অবশ্য জানাচ্ছে, ২০১৭-১৮-য় মরসুমি ফ্লু-তেও প্রাণ গিয়েছিল ৬১ হাজারের! তাই চিনকে দোষারোপ করে প্রশাসন আদতে নিজের ব্যর্থতাই ঢাকতে চাইছে বলে মত একাংশের। এই ব্যর্থতা ট্রাম্পের পুনর্নির্বাচিত হওয়ার স্বপ্নেও ধাক্কা দিতে পারে বলে মনে করছেন অনেকে।

Advertisement

আরও পড়ুন: ‘আমরা ছাড়া আকাশে তো আর কেউ নেই!’

বেজিংও পাল্টা ‘ট্রাম্পের ব্যর্থতার’ কথা বলেই মার ঠেকাচ্ছে ওয়াশিংটনের। এ দিকে সূত্রের খবর, মার্কিন কংগ্রেসের একাংশ উৎপাদন এবং খনিজ খাতে চিনের উপর নির্ভরতা কমানোর জন্য চাপ বাড়াচ্ছে দেখেই ক্রমে সুর চড়ছে প্রেসিডেন্টের। বেশ কিছু ক্ষেত্রে আমদানি বাবদ চিনের বেশির ভাগ পাওনা যাতে আটকে দেওয়া যায়, গত কালই এ নিয়ে কংগ্রেসে একটি বিল প্রস্তাব করেছেন ব্রায়ান মাস্ট।

ইউরোপের কিছু দেশ অবশ্য দাবি করছে, সংক্রমণ এখন অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে। ফ্রান্স জানিয়েছে, আগামী সপ্তাহ থেকেই আরও কিছু বাজার, এমনকি স্কুলও খুলতে পারে। একটু একটু করে স্বাভাবিক হবে গণপরিবহণও। ১১ মে থেকে ১০০ কিলোমিটার পর্যন্ত ভ্রমণে মিলবে ছাড়, তবে মাস্ক আবশ্যক। এতে যে ঝুঁকি রয়েছে, ইউরোপীয় ইউনিয়ন তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। জার্মানি অবশ্য বিদেশ ভ্রমণ ১৪ জুন পর্যন্ত বন্ধ রাখছে।

আরও পড়ুন: জুনেই আমেরিকায় থাকার অধিকার হারাতে পারেন ২ লক্ষ বিদেশি কর্মী

আগামী এক-দু’মাসে ধাপে ধাপে লকডাউন তোলার ইঙ্গিত দিয়েছে স্পেনও। বাড়ির বাইরে গিয়ে প্রাতর্ভ্রমণ কিংবা কাছাকাছি আত্মীয়ের বাড়িতে যাওয়ার ক্ষেত্রে আগামী সপ্তাহ থেকে ছাড় দেওয়ার কথা ভাবছে প্রশাসন। লকডাউন শিথিলের ইঙ্গিত দিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনও।

(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement