—ফাইল চিত্র।
হোয়াইট হাউসে পা রেখেই মৃত্যুদণ্ডের রেওয়াজ তুলে দেবেন তিনি। আমেরিকার ৪৬তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেওয়ার আগেই তা জানিয়ে দিয়েছেন জো বাইডেন। তাঁর হোয়াইট হাউসে পা রাখতে বাকি এখনও তিন দিন। তার মধ্যেই যুক্তরাষ্ট্রীয় পরিকাঠামোর আওতায় চার বছরে ১৩তম মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করল ডোনাল্ড ট্রাম্পের সরকার। শনিবার ৪৮ বছরের ডাস্টিন হিগস নামে এক ব্যক্তির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করেছে তারা। ইঞ্জেকশনের মাধ্যমে বিষপ্রয়োগ করে তাঁর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হয়।
শনিবার মধ্যরাতে স্থানীয় সময় ১টা বেজে ২৩ মিনিটে ডাস্টিনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হয়। ১৯৯৬ সালে মেরিল্যান্ডে তানজি জ্যাকসন, তামিকা ব্ল্যাক এবং মিশান চিন নামের তিন মহিলাকে অপহরণ করে খুন করেন তিনি। ২০০১ সালে সেই মামলায় দোষী সাব্যস্ত হন তিনি এবং তাঁকে মৃত্যুদণ্ডের সাজা শোনায় আদালত। তবে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হওয়ার আগের মুহূর্ত পর্যন্ত তিনি নিজেকে নির্দোষ বলে দাবি করেন বলে জানা গিয়েছে।
আমেরিকায় যুক্তরাষ্ট্রীয় এবং বিভিন্ন স্টেটের বিচার পরিকাঠামো সম্পূর্ণ নিজস্ব। যে কারণে ক্যাপিটলের দায়িত্বে থাকা ট্রাম্প সরকার এবং বিভিন্ন স্টেটের সরকার নিজেদের মতো করে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করতে পারে। ২০১৭-য় ক্ষমতায় আসার পর ২০২০-তেই প্রথম বার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করে ট্রাম্প সরকার। আর প্রথম বারেই ১০ জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করে তারা, গত ৬ দশকের নিরিখে যা প্রায় ৩ গুণ বেশি। এমনকি ২০২০ সালে সমস্ত স্টেট মিলিয়েও এত সংখ্যক মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হয়নি সে দেশে।