এই ছবিটিও পোস্ট করা হয় টুইটারে।
একেবারে ধুকপুক করছে। শ্বাস নিচ্ছে, আবার ছেড়ে দিচ্ছে। একটা আস্ত জঙ্গল। একটা জঙ্গল কি কখনও নিশ্বাস নিতে পারে?
ভিডিয়োতে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে, জঙ্গলের মাটির একটা অংশ ওঠানামা করছে। এই ভিডিয়ো ভাইরাল। কেউ বলেন, ‘প্রকৃতি মাতা’ শ্বাস নিচ্ছেন। কেউ বলেন, মজা করছেন প্রকৃতি। রুষ্ট হয়েছেন।
আসলে ওই ঘটনার বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা রয়েছে। এটা কি একটা ইলিউশন বা দৃষ্টিভ্রম? না ঠিক তা নয়, মারাত্মক হাওয়া দিচ্ছে কানাডার কিউবেক প্রদেশের সাকরে কোয়েরের একটা জঙ্গলে। সেই জঙ্গলেরই মাটি যেন শ্বাস-প্রশ্বাস নিচ্ছে। সেই ভিডিয়োই পোস্ট হয়েছিল টুইটারে।
আবার কেউ রীতিমতো ভয় পেয়ে গিয়েছেন, বলছেন, ওখানে অশরীরী আত্মাদের বাস। সবমিলিয়ে টুইটার, ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম প্রতিটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল এই ভিডিয়ো। শেয়ার হয়েছে ৩০ লক্ষ বার। ঘটনার ব্যাখা দিয়েছেন এক জন ভূতাত্ত্বিক।
আরও পড়ুন: শঙ্কর সজ্জন, ভারতের নতুন এই স্পিনার যেন ‘লগান’-এর কাচরা
ডেভিড ব্রেসান নামে এক জন ভূতাত্ত্বিক ফোর্বস পত্রিকায় একটি প্রবন্ধ লিখেছেন এই নিয়ে। প্রচণ্ড ঝড়ে বিশালাকার গাছগুলির আন্দোলন মাটির নীচেও ছড়িয়ে পড়ে। নাড়িয়ে দেয় শিকড়ও। মাটির উপরের হাওয়ার পর্যায়ক্রম আন্দোলন মাটিতেও ছড়িয়ে পড়ে।
মূলত স্প্রুস গাছের চাকতির মতো শিকড়ের আকারই এর কারণ, এগুলি মাটির উপরের স্তরে থাকে। ০.৫ ইঞ্চি মোটা শিকড়গুলি প্রায় ১৫৯ কিলোগ্রাম ওজন বহনে সক্ষম। কাজেই মাটি থেকে ঠেলে বেরিয়ে আসার চেষ্টা করে শিকড়গুলি।
আরও পড়ুন: কোথায় গেল ৩১ পাহাড়, প্রশ্ন সুপ্রিম কোর্টের
এমনকি ছোট ছোট বোল্ডার সরিয়ে দেওয়ার ক্ষমতাও রাখে এই শিকড়গুলি। ভূতাত্ত্বিকদের কাছে অন্যতম আকর্ষণের বিষয় এই গাছগুলি। খাড়াই ঢালগুলির কারণে মাটি আঁকড়ে থাকে শিকড়গুলি। ‘সেফটি নেট’ বলা যেতে পারে। সেগুলি বাকি অবশেষকে ধরে রাখে। হাওয়ার সঙ্গে গাছ নড়লে মনে হয় শ্বাস নিচ্ছে জঙ্গলের মাটি, গাছ।আর গাছের চারপাশে থাকা ঝরে পাতা ইত্যাদি সরতে থাকে। তাই মনে হয় শ্বাস নিচ্ছে জঙ্গলের মাটি।
আন্তর্জাতিক সম্পর্ক, আন্তর্জাতিক চুক্তি, আন্তর্জাতিক বিরোধ, আন্তর্জাতিক সংঘর্ষ- সব গুরুত্বপূর্ণ আন্তর্জাতিক খবর জানতে চোখ রাখুন আমাদের আন্তর্জাতিক বিভাগে।