আধুনিক বিশ্বে দক্ষিণ ও পশ্চিম আফ্রিকার কয়েকটি দেশে হিরের খনি আবিষ্কারের আগে ১৮০০ শতকে তৎকালীন হায়দরাবাদে ছিল বিশ্বের একমাত্র হিরের খনি! কিন্তু গোলকুণ্ডার হিরের খনি থেকে পাওয়া হিরের এত দাম কেন?
কোহিনূরের মতো বিতর্কিত হিরেও বর্তমান তেলঙ্গানার গোলকুণ্ডা থেকে আহরিত। ২০০০ বছরেরও বেশি সময় ধরে হিরের খনির জন্য বিখ্যাত ছিল একমাত্র গোলকুণ্ডা।
১৬৬৩ সালে ফরাসি ভূপর্যটক তাভেরনিয়ের লিখেছিলেন, এই খনি থেকে পাওয়া একেকটা হিরের মাপ একটি মুরগীর ডিমের অর্ধেকের চেয়েও বেশি বড়।
গোলকুণ্ডার হিরে সম্পর্কে তিনি লিখেছেন, সুন্দর গোলাপের মতো আকৃতি ছিল এই হিরের, এক দিকটা বেশ উচু। সেগুলোর থেকে কেটে নেওয়া হয়েছে হিরে।
টাইপ ১ হিরে এতটাই খাঁটি যে অতি বেগুনি রশ্মি ও দৃশ্যমান আলো হিরের মধ্যে দিয়ে প্রতিফলিত হতে পারে। মনে হয় এক টুকরো বরফ।
টাইপ ২-এ হিরে বর্ণহীন। বাদামি, গোলাপি, নীলচে ও ধূসর হতে পারে।
টাইপ ২বি-ও প্রায় বর্ণহীন থেকে হলদেটে রঙের হয়। এটি খাঁটি, কারণ একেবারে নাইট্রোজেন মুক্ত।
গোলকুণ্ডার খনির পাশ দিয়ে বহমান ছিল দুটি নদী, ফলে হিরের স্বচ্ছতা-মসৃণতার দিক থেকেও এখানকার হিরের আকারও অনন্য।
সর্বশেষ খবর ছিল, ১১৮ কোটি টাকায় বিক্রি হয়েছে গোলকুণ্ডার ৭৬ ক্যারাটের একটি হিরে।