ইউক্রেনের বিদেশমন্ত্রী দিমিত্রো কুলেবা। ছবি: রয়টার্স।
দু’দিনের সফরে নয়াদিল্লি আসছেন যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেনের বিদেশমন্ত্রী দিমিত্রো কুলেবা। দ্বিপাক্ষিক, আঞ্চলিক এবং আন্তর্জাতিক পরিস্থিতি নিয়ে তাঁর বৈঠক হবে বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সঙ্গে। বিদেশ মন্ত্রকের বিবৃতিতে ‘আন্তর্জাতিক’ বিষয়ের উপরে গুরুত্ব দিয়ে বলা হয়েছে, পারস্পরিক স্বার্থের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত বিষয়গুলিও নিয়েও তাঁর কথা হবে এ দেশের নিরাপত্তা কর্তাদের সঙ্গে।
কূটনৈতিক সূত্রের বক্তব্য, দিল্লির সঙ্গে কথায় কুলেবার অগ্রাধিকার থাকবে, তাঁর দেশ থেকে রাশিয়ার সেনা সম্পূর্ণ প্রত্যাহারের বিষয়ে মস্কোর উপর চাপ তৈরি করা নিয়ে। আর সেই চাপ ভারতকে দিয়েই তৈরি করতে চান কুলেবা। সুইৎজ়ারল্যান্ড যে শান্তি উদ্যোগ নিয়েছে, তার সম্মেলন হওয়ার কথা গ্রীষ্মে। তাতে ভারত যাতে শীর্ষ পর্যায়ের প্রতিনিধি পাঠায়, সে জন্যও সাউথ ব্লকের সঙ্গে খোলামেলা আলোচনা করবেন কুলেবা।
প্রসঙ্গত সোমবারই, অর্থাৎ দোলের দিন কুলেবা ভারতকে শুভেচ্ছা জানিয়ে মহাত্মা গান্ধীর প্রসঙ্গ এনেছিলেন। সমাজমাধ্যমে তিনি বলেন, ‘‘আজ, ভারত হোলি উদযাপন করছে, সবচেয়ে সুন্দর এবং রঙিন বসন্তের ছুটি৷ আমি সবাইকে হোলির শুভেচ্ছা জানাই! এখানে কিভ-এ মহাত্মা গান্ধীর স্মৃতিস্তম্ভের সামনে দাঁড়িয়ে, আমি এই ঘোষণা করতে পেরে আনন্দিত যে এই সপ্তাহে আমি আমার প্রথম ভারত সফর করব।’’ দুই মিনিটের একটি ভিডিয়ো বার্তায় কুলেবার বক্তব্য, ‘‘ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট দু’টি বড় গণতন্ত্রের মধ্যে সম্পর্ক জোরদার করার লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে কথা বলেছেন। আজ ইউক্রেনবাসী লড়াই করছেন স্বাধীনতার লক্ষ্যে। মহাত্মা যখন তাঁর সংগ্রাম শুরু করেছিলেন, তিনি সব বিরোধিতা সত্ত্বেও অবিচল ছিলেন এবং লক্ষ্য অর্জন করেছিলেন।’’ গান্ধীকে ‘সমগ্র বিশ্বের অনুপ্রেরণা’ বলে অভিহিত করে তিনি বলেন, ‘‘আজ ইউক্রেনকে সমর্থন করার অর্থ হল, স্বাধীনতাকে সমর্থন করা এবং মহাত্মা গান্ধীর উত্তরাধিকারকে সমর্থন করা।’’