গুলশন হামলার পাণ্ডাদের বিরুদ্ধে পুলিশি অভিযান চলছেই। সেই সঙ্গে নাশকতা পরবর্তী বাণিজ্যিক ক্ষত মেরামতেও একই রকম মনোযোগ দিয়ে চলতে চাইছে হাসিনা সরকার। চেষ্টা করা হচ্ছে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফেরানোর।
তিন দিনের সফরে ভারতে এসেছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অর্থনৈতিক উপদেষ্টা মাসিউর রহমান। আজ তিনি বলেন, ‘‘গুলশন কাণ্ডের ফলে কোনও দীর্ঘমেয়াদী অর্থনৈতিক ক্ষতির সম্ভাবনা আমরা দেখছি না। বাংলাদেশের অর্থনীতিতে এর কোনও প্রভাব পড়বে না।’’
তাঁর দাবি, ১ জুলাইয়ের নাশকতার পরে দেশের অর্থনৈতিক ক্ষতি নিয়ে গেল গেল রব পড়ে গিয়েছিল। কিন্তু বাংলাদেশের শহর এবং গ্রামে ধীরে ধীরে স্বাভাবিক পরিস্থিতি ফিরে এসেছে। মাসিউরের কথায়, ‘‘হোলি আর্টিজান বেকারি আক্রান্ত হওয়ার পর যে সব দেশ আমাদের বড় বড় প্রকল্পে সাহায্য এবং বিনিয়োগ করছিল, তারা অর্থনৈতিক নিরাপত্তা দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে। এখনও পর্যন্ত আমাদের কাছে এমন কোনও খবর নেই যে, কোনও বিনিয়োগকারী দেশ তাদের প্রকল্প গুটিয়ে নিয়েছে বা বরাদ্দ কাটছাঁট করছে।’’
তবে গুলশন নাশকতার পরে আতঙ্কের জেরে বাংলাদেশ ছেড়েছিলেন বিভিন্ন প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত বিদেশিরা। কোথাও প্রকাশ্যে, কোথাও গোপনে। যেমন নারায়ণগঞ্জের কাছে সিদ্ধিগঞ্জে সরকারের সঙ্গে যৌথভাবে ৩৩৫ মেগাওয়াট তাপবিদ্যুৎ প্রকল্প নির্মাণের দায়িত্বে থাকা স্পেনীয় সংস্থার ৫ ইঞ্জিনিয়ার বাংলাদেশ ছেড়েছেন। জাপানের সংস্থা জাইকা বাংলাদেশে নতুন বিনিয়োগের ব্যাপারে সন্দিহান হয়ে পড়েছে। ৬ জন ইতালীয় হত্যার ঘটনাটিও বড় সহজ ভাবে নেয়নি রোম। ওই ৬ জনই ইতালীয় পোশাক কারখানার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।
এই পরিস্থিতিতে ঢাকা যে সর্বশক্তি দিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে নেমেছে তা মাসিউরের বক্তব্যেই স্পষ্ট।