রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, পুতিনের শরীর ক্রমেই খারাপ হচ্ছে। — ফাইল ছবি।
সত্যিই কি অসুস্থ রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন! রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে সেই নিয়ে বার বার জল্পনা তৈরি হয়েছে। এ বার এই নিয়ে নতুন একটি রিপোর্ট প্রকাশ্যে এল। তাতে দাবি করা হয়েছে, পুতিনের শরীর ক্রমেই খারাপ হচ্ছে। ‘মাথায় যন্ত্রণা, দৃষ্টিশক্তি ঝাপসা হয়ে গিয়েছে, জিভে জড়তা’ রয়েছে। এ সব কারণে উদ্বেগে চিকিৎসকরা।
এই দাবি তুলেছে রাশিয়ার একটি চ্যানেল। নাম জেনারেল এসভিআর টেলিগ্রাম চ্যানেল। তারাই দাবি করেছে, পুতিনের শরীর ভেঙে গিয়েছে। ওই সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত রিপোর্টে বলা হয়েছে, পুতিনের ‘ডান হাত এবং ডান পায়ে সাড় কমে যাচ্ছে’। দ্রুত চিকিৎসার দরকার। চিকিৎসকেরা তাঁকে ওষুধ খেয়ে বিশ্রাম করার নির্দেশ দিয়েছেন। যদিও পুতিন সে পথে হাঁটতে নারাজ। তিনি ইউক্রেন যুদ্ধ সংক্রান্ত রিপোর্ট দেখতেই বেশি ব্যস্ত।
ওই রিপোর্টেই বলা হয়েছে, পুতিনের অবস্থার সামান্য উন্নতি হয়েছে। তাই চিকিৎসকদের চিন্তাও কিছুটা হলেও কমেছে। তবে তাঁর আত্মীয়স্বজনেরা উদ্বেগে। ওই সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, ‘‘প্রেসিডেন্টের আত্মীয়েরা উদ্বেগে। ভ্লাদিমির পুতিনের শরীর এ ভাবে ভেঙে পড়ায় তাঁরা ভীত। সাময়িক এই অসুস্থতা প্রেসিডেন্টের ঘনিষ্ঠজনদের চাপে রেখেছে। আচমকা পুতিনের মৃত্যু হলে বিপাকে পড়তে পারেন তাঁরা।’’
২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে একটি ভিডিয়ো প্রকাশ্যে এসেছিল। বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেকজান্ডার লুকাশেঙ্কোর সঙ্গে বৈঠকের সেই ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছিল, ঠিক ভাবে পা ফেলতে পারছেন না পুতিন। পায়ের উপর নিয়ন্ত্রণ নেই তাঁর। সমাজমাধ্যমে সেই ভিডিয়ো দেখে অনেকেই আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন পুতিনের শরীর নিয়ে। স্পেনের একটি সংবাদমাধ্যমের দাবি, পুতিনের ক্যানসার হয়েছে। তিনি পার্কিনসন্সে ভুগছেন। তাদের দাবি, ক্রেমলিনের নিরাপত্তারক্ষীদের মধ্যে চালাচালি হওয়া কিছু ইমেল ফাঁস হয়ে যায়। সেই ইমেল থেকেই তারা জেনেছে, পুতিনের পার্কিনসন্স হয়েছে। প্রাথমিক স্তরে রয়েছে। তবে তিনি সুস্থ হয়ে উঠছেন। এই খবর প্রকাশ করতে বারণ করার কথাও বলা ছিল সেই ইমেলে। যদিও রুশ মন্ত্রীরা এ সব রিপোর্ট খারিজ করেছেন। জানিয়েছেন, পুতিন সুস্থই রয়েছেন।