পাকিস্তান নির্বাচন কমিশন। ছবি: সংগৃহীত।
তদারকি প্রধানমন্ত্রী হিসাবে বালুচিস্তান প্রদেশের রাজনীতিক তথা সেনেট সদস্য আনওয়ার-উল-হক-কাকর শপথ নেওয়ার পরেই নতুন বিতর্ক শুরু হল পাক রাজনীতিতে। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ ‘ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলি’র আসন পুনর্বিন্যাস ঘিরে বিরোধী এমনকি সরকারপক্ষের একাংশও আপত্তি তুলেছেন।
পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ এবং অন্যান্য কয়েকটি বিরোধী দল অভিযোগ তুলেছে, আসন পুনর্বিন্যাসের অছিলায় নির্বাচন পিছিয়ে দিতে পারে পাক নির্বাচন কমিশন। প্রসঙ্গত, সম্প্রতি পাক সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি উমর আতা বান্দিয়ালের প্রশ্নের উত্তরে নির্বাচন কমিশনের তরফে জানানো হয়েছিল, ওই প্রক্রিয়া শেষ হতে চার থেকে ছ’মাস সময় লাগতে পারে। সে ক্ষেত্রে সাংবিধানিক সঙ্কট দেখা দেওয়ার আশঙ্কা রয়েছে পাকিস্তানে।
প্রসঙ্গত, গত ৯ আগস্ট মেয়াদ শেষ হওয়ার তিন দিন আগে ভেঙে দেওয়া হয় পাকিস্তানের পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলি। পাক সংবিধান অনুযায়ী, ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচনের আয়োজন করতে হবে কমিশনকে। পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত না হওয়া পর্যন্ত অর্থ, প্রতিরক্ষা, বিদেশ-সহ যাবতীয় গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন অস্থায়ী প্রধানমন্ত্রীই। তিনি নিজের মতো করে একটি অস্থায়ী মন্ত্রিসভাও গঠন করবেন।
সদ্য প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী, পাকিস্তান মুসলিম লিগ(নওয়াজ)-এর নেতা শাহবাজ শরিফের সহযোগী দল পাকিস্তান পিললস পার্টি (পিপিপি)-র সেনেট সদস্য রাজা রব্বানি মঙ্গলবার বলেন, ‘‘আসন পুনর্বিন্যাসের কারণে নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়া হলে দেশ এবং দেশবাসীর উপর তার মারাত্মক নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। নির্বাচন কমিশনের উচিত যে কোনও ভাবে নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে ভোটের আয়োজন করা।’’