টাইফুন হাতো-র দাপটে বিধ্বস্ত দক্ষিণ চিনের বিস্তীর্ণ অংশ। বাড়ছে মৃত ও আহতের সংখ্যা। এখনও পর্যন্ত হংকং, ম্যাকাউ ও চিনের মূল ভূখণ্ডে এই ঝড়ের বলি হয়েছেন ১৬ জন। আহত দেড়শোরও বেশি।
আবহাওয়া দফতরের খবর, গত কাল দুপুরে হংকংয়ের কাছে আছড়ে পড়েছিল হাতো। সঙ্গে চলছিল ভারী বৃষ্টি ও জলোচ্ছ্বাস। তার পর ওই ঝড় সরে যায় চিনের মূল ভূখণ্ডের দিকে। সে দিকে যেতে তার শক্তি কমলেও লেজের ঝাপটায় ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে যথেষ্টই। তবে হাতো আজ আরও পশ্চিম দিকে চলে গিয়েছে। দুর্বল হয়ে সেটি এখন ক্রান্তীয় ঝড়ে পরিণত হয়েছে।
প্রশাসন সূত্রের খবর, চলতি বছর এই নিয়ে ১৩টি টাইফুনের দাপটে জেরবার গোটা দেশ। তবে গত ৫৩ বছরে এমন শক্তিশালী টাইফুন দেখেনি চিন। যার প্রভাব পড়েছে দেশের বিস্তীর্ণ অংশে। ঝড়ের দাপটে গত ২৪ ঘণ্টা ধরে অন্ধকারে রয়েছে ম্যাকাউ। সেখানেই প্রাণ গিয়েছে আট জনের।
আরও পড়ুন: নাম-হীন জীবন থেকে মুক্তি চান আফগান মেয়েরা
ম্যাকাউ স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, গত কালই ম্যাকাউয়ে তিন জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছিল। তার পরে আরও পাঁচ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে।
প্রবল ঝড়ে দেওয়াল চাপা পড়ে মৃত্যু হয়েছে এক জনের। বহুতল থেকে পড়ে আর এক জন মারা গিয়েছেন। আবার ট্রাক চাপা পড়ে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। আজ সকালে জলমগ্ন গাড়ি পার্কিং থেকে দু’জনের দেহ উদ্ধার হয়েছে।
ম্যাকাউয়ের জনপ্রতিনিধি জোস পেরেইরা কুটিনহো জানিয়েছেন, এটা একটা প্রাকৃতিক বিপর্যয়। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণটা খুব বেশিই। বহুতলগুলি মেরামত করতে হবে। কাল থেকে জল আর বিদ্যুতের তীব্র সমস্যা রয়েছে। প্রশাসনকে বিঁধে তিনি বলেন, ‘‘আচমকাই শহরের বেশির ভাগ অংশ জলের তলায় চলে গিয়েছিল। কোনও নৌকো ছিল না। মানুষ সাঁতার কাটছিল। আর সাহায্য চাইছিল। তা সত্ত্বেও প্রশাসন খুব খারাপ ভাবে ও ধীরে ধীরে কাজ করেছে।’’