আব্দুল মাজেদ। —ফাইল চিত্র
বুধবার সন্ধ্যায় রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষার আর্জি জানিয়েছিলেন শেখ মুজিবুর রহমান হত্যার অন্যতম আসামি ক্যাপ্টেন (বহিঃ) আব্দুল মাজেদ। কয়েক ঘণ্টার মধ্যে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি ভবন থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, সে আর্জি খারিজ করেছেন রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ। এর ফলে মাজেদের ফাঁসি এখন সময়ের অপেক্ষা। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ইঙ্গিত দিয়েছেন, শবে বরাত এবং পরের দিন শুক্রবারের ছুটি মিটলেই এই প্রাণদণ্ড কার্যকর করা হতে পারে। সুপ্রিম কোর্ট ২০০৯-এর নভেম্বরে মাজেদ-সহ ১২ জনের ফাঁসির রায় বহাল রাখার পরে মঙ্গলবার ধরা পড়েছেন এই ঘাতক। বাংলাদেশ পুলিশের দাবি, ২৩ বছর পশ্চিমবঙ্গে গা-ঢাকা দিয়েছিলেন মাজেদ।
১৯৭৫-এর ১৫ অগস্ট মুজিবকে হত্যার পরে ২ নভেম্বর ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে ঢুকে সেনাদের যে দলটি ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দিন আহমেদ এবং তিন মন্ত্রী মহম্মদ মনসুর আলি, সৈয়দ নজরুল ইসলাম এবং মহম্মদ কামরুজ্জামানকে হত্যা করেছিল, মাজেদ তাতেও ছিলেন। মহম্মদ মনসুর আলির পুত্র বর্ষীয়ান আওয়ামি লিগ নেতা মহম্মদ নাসিমের দাবি, ফাঁসি দেওয়ার আগে মাজেদকে জিজ্ঞাসাবাদ করে বার করা হোক, কার আদেশে তাঁরা এই চার নেতাকে হত্যা করেছিলেন। নাসিম বলেন, “দেশবাসীর এটা জানা দরকার।”