তাইল্যান্ডে আছড়ে পড়েছে পাবুক।
পূর্বাভাস ছিলই। সেই মতো শুক্রবার স্থানীয় সময় দুপুর পৌনে একটা নাগাদ দক্ষিণ তাইল্যান্ডের নাখোন সি থাম্মারাত প্রদেশে আছড়ে পড়ে ঘূর্ণিঝড় পাবুক। প্রকৃতির রোষে প্রাণ গিয়েছে মোট তিন জনের।
ঘণ্টায় ৭৫ কিলোমিটার বেগে বইতে শুরু করে ঝড়। উপড়ে যায় গাছ। ভেঙে পড়ে বিদ্যুতের খুঁটি। ফলে বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়েছে বিস্তীর্ণ এলাকা। শনিবার সকালে অন্তত ২ লক্ষ মানুষ অন্ধকারে ছিলেন বলে প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে। বহু এলাকা ভেসেছে প্রবল বৃষ্টিতে। অনেক জায়গায় নেমেছে হড়পা বান। প্রায় ৩৪ হাজার মানুষকে নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে শনিবার জানিয়েছে প্রশাসন। মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। ঝড়ের মধ্যে ঢেউয়ের ধাক্কায় নৌকা ভেঙে গিয়ে এক মৎস্যজীবীর মৃত্যু হয়েছে। নৌকাটির আর এক কর্মীর খোঁজ মিলছে না।
বছরের শুরুতে তাইল্যান্ডে এখন বিদেশি পর্যটকদের ভিড়। ঘূর্ণিঝড়ের কারণে আটকে পড়েছেন তাঁরা। পর্যটকরা সব চেয়ে বেশি ভিড় জমিয়েছেন জনপ্রিয় পর্যটন স্থল কো সামুই, কো ফাঙ্গন এবং কো তাও-য়ে। পাবুকের পূর্বাভাস পাওয়ার পরেই বন্ধ করে দেওয়া হয় বিমান এবং ফেরি পরিষেবা। ফলে আটকে পড়েছেন পর্যটকেরা। তাঁদের সমুদ্রে যেতে বারণ করা হয়েছে।
এ দিন কো সামুইয়ের এক প্রশাসনিক কর্তা বলেন, ‘‘এখানে হতাহতের কোনও খবর নেই। ফেরি এবং বিমান চলাচলও শুরু হয়েছে। তাই অনেক পর্যটকই আজ এখান থেকে চলে যেতে পারবেন।’’ কো ফাঙ্গনের এক প্রশাসনিক কর্তা এ দিন বলেন, ‘‘১০ হাজার পর্যটকই সুরক্ষিত রয়েছেন। সব বিপদ কেটে গিয়েছে।’’ তবে ঢেউয়ের কারণে ছোটখাটো ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। এ দিন দলে দলে তাইল্যান্ড ছাড়তে শুরু করছেন বিদেশি পর্যটকেরা।