—প্রতীকী চিত্র।
আমেরিকার টিকা প্রস্তুতকারক সংস্থা মর্ডানার দাবি, তাদের গবেষণার সম্পূর্ণ ফল হাতে আসার পর দেখা গিয়েছে, করোনার বিরুদ্ধে ওই টিকা ৯৪.১ শতাংশ কার্যকর। অত্যধিক ঝুঁকিপূর্ণ রোগীর উপর এই টিকা ১০০ শতাংশ কাজ করে বলে দাবি করেছে ওই সংস্থা। মডার্নার প্রধান মেডিক্যাল অফিসার টাল জ্যাক্স বলেন, ‘‘আমাদের বিশ্বাস, আমরা এমন একটা ভ্যাক্সিন তৈরি করতে পেরেছি যা খুবই কাজ করে। এর সপক্ষে আমাদের কাছে প্রামাণ্য তথ্য রয়েছে। অতিমারি রুখতে এই টিকা বড় ভূমিকা নিতে চলেছে।’’ ফাইজারের পর মডার্নাও তাদের তৈরি টিকাকে ছাড়পত্র দেওয়ার জন্য আবেদন জানাল আমেরিকা এবং ইউরোপের সংস্থার কাছে।
সংস্থার এক বিবৃতি বলছে, ‘আমেরিকার ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফডিএ)–এর কাছে মডার্না এই টিকাকে আপৎকালীন ভিত্তিতে ছাড়পত্র দেওয়ার জন্য আবেদন করেছে। সেই সঙ্গে ইউরোপীয় মেডিসিনস এজেন্সির কাছেও এই টিকাকে ইউরোপের বিভিন্ন দেশে বৈধতা দেওয়ার জন্য অনুমতি চাওয়া হয়েছে’।
ইউনিভার্সিটি অব রিডিং-এর বায়োমেডিক্যল টেকনোলজির শিক্ষক আলেকজান্ডার এডওয়ার্ড বলেন, ‘‘এটা দুর্দান্ত ঘটনা। যত বেশি ট্রায়ালের তথ্য আমরা পাব, ততই কোভিডের বিরুদ্ধে আমাদের গবেষণা ঋদ্ধ হবে। একই সঙ্গে কোভিডকে হারানোর যে লড়াই, তার জন্য আমরা আত্মবিশ্বাস পাব। টিকা বাজারে এলে জনপরিসরেও আত্মবিশ্বাস বাড়বে যে তাঁদের অতিমারির বিরুদ্ধে লড়ার জন্য টিকা এসে গিয়েছে।’’
একই ছাড়পত্রের জন্য সম্প্রতি আবেদন জানিয়েছে ফাইজারও। ইতিমধ্যেই ইউরোপের সংস্থার কাছে ফাইজারের ডেটা পৌঁছে গিয়েছে। তারা তা পর্যালোচনা করে দেখছে। অ্যাস্ট্রাজেনেকা এবং অক্সফোর্ডের তৈরি টিকার তথ্যও এখন পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে। মডার্না বলেছে, ইউরোপের কাছ থেকে দ্রুত এই টিকার ছাড়পত্র মিলবে। ৩০ হাজার স্বেচ্ছাসেবীর উপর এই টিকা প্রয়োগ করে তথ্য পরীক্ষা করা হয়েছে। একটি সূত্রের মতে, এর মধ্যে অত্যধিক ঝুঁকিপূর্ণ রোগীর উপর এই টিকা ১০০ শতাংশ কার্যকর।
তবে মডার্নার টিকা বাজারে এলে তার দাম অ্যাস্ট্রাজেনেকা বা ফাইজারের থেকে বেশি হবে বলেই মনে করছেন ওয়াকিবহাল মহলের একাংশ। তাঁদের ধারণা ফাইজার বা মডার্নার থেকে ওই টিকা তুলনামূলক ভাবে কম কার্যকর হতে পারে।
আরও পড়ুন: হায়দরাবাদ পুরভোট দিয়েই তেলঙ্গানা দখলের স্বপ্ন বিজেপি শিবিরের
আরও পড়ুন: খোশমেজাজে খোল বাজালেন শুভেন্দু, নন্দীগ্রামে বোঝালেন হরিনামের মাহাত্ম্য