প্রতীকী ছবি।
চিনের ল্যাবরেটরি থেকেই কি করোনাভাইরাস ছড়িয়েছে? আমেরিকা, জার্মানির মতো বহু পশ্চিমী দেশের এই পুরনো অভিযোগ আবারও নস্যাৎ করল চিন। শি জিনপিং সরকারের দাবি, রাজনৈতিক উদ্দেশ্য চরিচার্থ করতেই এই ভুয়ো তত্ত্ব খাড়া করা হয়েছে। চিনের পাল্টা অভিযোগ, জৈব অস্ত্র হিসাবে ব্যবহারের জন্য আমেরিকার দু’টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ল্যাবরেটরিতে এই ভাইরাসের উৎপত্তি। যদিও এ সংক্রান্ত কোনও প্রমাণ পেশ করতে পারেনি চিন।
করোনার উৎপত্তি কোথা থেকে হয়েছে, তা নিয়ে তদন্তে গত বছর চিনের উহানে পৌঁছছিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)-র আন্তর্জাতিক দল। ওই তদন্তে অসহযোগিতার অভিযোগ উঠেছিল চিনের বিরুদ্ধে। তবে বৃহস্পতিবার সে অভিযোগও নস্যাৎ করেছে চিনের বিদেশ মন্ত্রক। মন্ত্রকের মুখপাত্র ঝাও লিজিয়ান বলেন, ‘‘চিনের ল্যাব থেকে করোনা ছড়ানোর তত্ত্বটি পুরোপুরি ভুয়ো। এটি আসলে চিন-বিরোধী শক্তির তৈরি করা তত্ত্ব। এর সঙ্গে বিজ্ঞানের সম্পর্ক নেই।’’ ঝাওয়ের আরও দাবি, ‘‘বৈজ্ঞানিক ভাবে করোনা উৎস সন্ধানে সব সময়ই সহযোগিতা করেছে চিন। তদন্তে রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তারের প্রশ্নই নেই।’’
আমেরিকার ফোর্ট ডেট্রিক এবং নর্থ ক্যারোলাইনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ল্যাবরেটরির কার্যকলাপকে ‘অত্যন্ত সন্দেহজনক’ আখ্যা দিয়েছে চিন। জৈবঅস্ত্র হিসাবে করোনার উৎস যে আমেরিকাই, এমন দাবিও করেছে চিন সরকার।
করোনার উৎস সন্ধানে আরও গঠনমূলক তদন্ত প্রয়োজন বলে বৃহস্পতিবার একটি রিপোর্টে মত প্রকাশ করেছে হু। রাষ্ট্রপুঞ্জের বিপরীত স্রোতে গিয়ে ওই রিপোর্টে হু-র দাবি, দুর্ঘটনার জেরে চিনের ল্যাব থেকে হয়তো করোনা ছড়িয়েছে, তা হওয়াটা প্রায় অসম্ভব। যদিও এই রিপোর্ট নিয়ে সমালোচনার মুখে পড়েছে হু। তবে রিপোর্টটি প্রকাশ্যে আসার পরই এ নিয়ে আবারও সরব হয়েছে চিন।
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ।