চিনা বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র হুয়া চুনইং। ছবি রয়টার্স।
শি চিনফিংয়ের দেশকে বিঁধে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গোড়া থেকেই বলছেন, ‘চিনা ভাইরাস’। বিশ্ব জুড়ে তিন কোটি করোনা-সংক্রমণ ও লক্ষাধিক মৃত্যুর পিছনে চিনকেই কাঠগড়ায় তুলেছেন তিনি। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে (হু) দেওয়া একটি বিবৃতিতে চিন আজ পাল্টা দাবি করল, এটি নতুন ধরনের ভাইরাস। চিন এর উৎস নয়। গত বছর পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়েছিল ভাইরাসটি।
চিনা বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র হুয়া চুনইং বলেন, ‘‘চিনই প্রথম সংক্রমণের খবর জানিয়েছে। ভাইরাসটিকে চিহ্নিত করেছে। ভাইরাসের জিনোম সিকোয়েন্স গোটা পৃথিবীকে জানিয়েছে।’’ অর্থাৎ কি না, তারা উৎস নয়, দোষও তাদের নয়, বরং তাদের কাঁধে কৃতিত্বই বর্তায়!
চিন আজ হু-এর উদ্যোগ ‘কোভ্যাক্স’-এ যোগ দিয়েছে। সে খবর দেওয়ার পাশাপাশি এই দাবিটিও তুলেছে, ‘‘উহানের ল্যাব কেন, সেখানকার মাংসের বাজার থেকেও ভাইরাস ছড়ায়নি।’’ যদিও তারা এক সময়ে বলেছিল, মাংসের বাজারই ভাইরাসটির উৎস হতে পারে। সে জন্য দীর্ঘদিন বন্যপ্রাণীর মাংস বিক্রিতেও নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছিল চিনে।
করোনার প্রতিষেধক আবিষ্কার হলে, তা যাতে ধনী-গরিব নির্বিশেষে, সব দেশের কাছে পৌঁছয়, সেই মর্মে একটি বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে হু। নাম রাখা হয়েছে ‘কোভ্যাক্স’। সব দেশকেই এই উদ্যোগে শামিল হতে আহ্বান জানানো হয়েছে। কিন্তু এত দিন পর্যন্ত কেবলমাত্র ছোট কিংবা গরিব দেশগুলিই যোগ দিয়েছিল। কোনও ধনী দেশ এগিয়ে আসেনি। আমেরিকা ও রাশিয়া বরং তাদের অনিচ্ছার কথা জানিয়ে দিয়েছে।
বিশেষজ্ঞরা বারবারই বলছেন, টিকা আবিষ্কার হলেই ভাইরাস পৃথিবী থেকে মুছে যাবে না। গণটিকাকরণ একটি দীর্ঘ প্রক্রিয়া। গোটা বিশ্বে টিকাকরণ সম্পূর্ণ করতে বছর ঘুরে যাবে। তা ছাড়া, এই বিপুল অর্থেরও প্রয়োজন! এ কথা মাথায় রেখেই ‘কোভ্যাক্স’ তৈরি। চিন কী পরিমাণ অর্থসাহায্য দিতে পারে, তা অবশ্য খোলসা করেনি। হুয়া চুনইং বলেন, ‘‘আশা করি, অন্য শক্তিশালী দেশগুলোও এগিয়ে আসবে।’’