Pregnancy

Covid Pregnancy: করোনা সংক্রমিত অন্তঃসত্ত্বাদের সময়ের অনেক আগে মা হওয়ার আশঙ্কা, দাবি রিপোর্টে

গবেষণায় জানা গিয়েছে, অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় মায়ের কোভিড হলে ৩২ সপ্তাহের আগে সন্তান জন্মানোর আশঙ্কা অন্তত ৬০ শতাংশ বেড়ে যায়।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

লস অ্যাঞ্জেলেস শেষ আপডেট: ১১ অগস্ট ২০২১ ০৬:০৮
Share:

প্রতীকী ছবি।

অন্তঃসত্ত্বা মায়ের করোনা সংক্রমণ হলে সময়ের অনেক আগেই জন্মাতে পারে সন্তান!

Advertisement

সম্প্রতি ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফর্নিয়া (ইউসি) সান ফ্রান্সিসকো-র এক দল গবেষক এ কথা জানিয়েছেন। তাঁদের গবেষণায় জানা গিয়েছে, অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় মায়ের কোভিড হলে ৩২ সপ্তাহের আগে সন্তান জন্মানোর আশঙ্কা অন্তত ৬০ শতাংশ বেড়ে যায়। যার ফলে শিশুর স্বাস্থ্যে নানা রকম জটিলতা দেখা দিতে পারে।

চিকিৎসকদের মতে, সাধারণত ৩৭ থেকে ৪০ সপ্তাহের গর্ভাবস্থাকে স্বাভাবিক বলে ধরা হয়। তার আগে, অর্থাৎ ৩২ থেকে ৩৬ সপ্তাহের মধ্যে শিশুর জন্ম হলে, তাকে ‘প্রিটার্ম’ বা সময়ের আগে জন্ম বলা হয়। যদি তারও আগে শিশুর জন্ম হয়, সে ক্ষেত্রে এটিকে ‘ভেরি প্রিটার্ম বার্থ’ বলে। গবেষকদের মতে, গর্ভাবস্থায় মায়ের করোনা হলে, সব ক্ষেত্রেই সময়ের আগে সন্তান জন্মানোর আশঙ্কা বেড়ে যায়। পাশাপাশি, মায়ের ডায়াবিটিস, হাইপারটেনশন, ওবেসিটি-র মতো সমস্যা থাকলে সে ক্ষেত্রে সময়ের আগে সন্তান জন্মের আশঙ্কা অন্তত ১৬০ শতাংশ বেশি। ইউসি সান ফ্রান্সিসকো-র এক গবেষকের কথায়, এ সমস্ত ক্ষেত্রে শিশুর নানা শারীরিক জটিলতা দেখা দিতে পারে। পাশাপাশি হবু মায়েদের জন্যেও করোনা সংক্রমণ যথেষ্ট বিপজ্জনক। তাই টিকাকরণের মাধ্যমে অন্তঃসত্ত্বা মায়েদের ঝুঁকি কমানোর দিকেই নজর দিতে বলছেন তাঁরা। আরও জানা গিয়েছে, আমেরিকায় মূলত ল্যাটিনো ও জনজাতি গোষ্ঠীর অন্তঃসত্ত্বাদের ক্ষেত্রে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি বেশি। ফলে তাঁদের টিকাকরণ পর্ব দ্রুত শেষ করতে জোর দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞেরা। প্রসঙ্গত, টিকাকরণের দৌড়ে প্রথম সারিতে থাকা সত্ত্বেও আমেরিকায় এখন রোজ গড়ে এক লক্ষের উপরে নতুন সংক্রমণ হচ্ছে।

Advertisement

এ দিকে মঙ্গলবার চিনে এক দিনে সংক্রমিতের সংখ্যা গত সাত মাসের মধ্যে সবচেয়ে বেশি বলে জানিয়েছে বেজিং। প্রশাসন সূত্রের খবর, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে নতুন করে ১৪৩টি সংক্রমণ ঘটেছে। যে দেশে ক’দিন আগেও দৈনিক সংক্রমণের সংখ্যা শূন্যে নেমে এসেছিল, সেখানে হুট করে এক দিনে ১৪৩টি সংক্রমণের খবর ভয়েরই বটে। এর জন্য ডেল্টা স্ট্রেনকেই দায়ী করছেন চিকিৎসকেরা। পরিস্থিতি সামলাতে গণপরীক্ষা, স্থানীয় লকডাউন এবং অবাধ যাতায়াতে ফের কড়াকড়ির নির্দেশ দিয়েছে প্রশাসন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement