Coronavirus

প্রতিষেধক সবার হোক, আর্জি হু-র

আমেরিকা, ব্রিটেন, জার্মানি, চিন-সহ একাধিক দেশে নোভেল করোনাভাইরাসের প্রতিষেধক ও ওষুধের সন্ধানে গবেষণা চলছে।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

জ়ুরিখ শেষ আপডেট: ৩১ মে ২০২০ ০৩:২২
Share:

—ফাইল চিত্র।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু) ছেড়ে গত কাল বেরিয়ে এসেছে আমেরিকা। এর পরেই ৩৭টি দেশ এবং হু একত্রে আবেদন জানাল, কোভিড-১৯-এর প্রতিষেধক, ওষুধ বা ভাইরাস সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ করতে পারে এমন কিছু আবিষ্কার হলে, তা যেন কোনও একটি দেশের কুক্ষিগত হয়ে না-থাকে। মালিকানা যেন একসঙ্গে অনেক দেশের হাতে থাকে।

Advertisement

আমেরিকা, ব্রিটেন, জার্মানি, চিন-সহ একাধিক দেশে নোভেল করোনাভাইরাসের প্রতিষেধক ও ওষুধের সন্ধানে গবেষণা চলছে। গোটা বিশ্বে এমন গবেষণার সংখ্যা অন্তত ১০০টি। উন্নয়নশীল বা ছোট দেশগুলির চিন্তা, ভ্যাকসিন আবিষ্কার হলে উন্নত দেশগুলি প্রতিষেধক হাতে পেতে পেশির জোর দেখানো শুরু করবে। হু-প্রধান টেড্রস অ্যাডানম গেব্রিয়েসাস বলেন, ‘‘যে কোনও আবিষ্কারে পেটেন্টের ভূমিকা অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ, কিন্তু এই পরিস্থিতিতে সাধারণ মানুষের কথা আগে মাথায় রাখা উচিত।’’

২১৩টি দেশ করোনা-আক্রান্ত। ৬০ লাখের উপরে মানুষ সংক্রমিত। ৩ লাখ ৬৭ হাজার ৪৩৬ জন মারা গিয়েছেন। আমেরিকায় গত কালও এক দিনে হাজারের উপর লোকের মৃত্যু হয়েছে। মোট মৃতের সংখ্যা এ দেশে ১,০৪,৫৫০। সংক্রমণের নিরিখে এখন দ্বিতীয় স্থানে ব্রাজ়িল। ৪,৬৮,৩৩৮ জন আক্রান্ত। মারা গিয়েছেন ২৮ হাজারের কাছাকাছি। রাশিয়াতেও হু হু করে বাড়ছে সংক্রমণ। চার লাখের কাছাকাছি আক্রান্ত। মারা গিয়েছেন ৪,৫৫৫ জন। ব্রিটেনে আরও ২১৫ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। এতে মোট মৃতের সংখ্যা ৩৮ হাজার ছাড়াল। এ অবস্থায় কড়াকড়ি কমানোর একেবারে পরিপন্থী ব্রিটিশ বিজ্ঞানীরা। এ রকম কিছু হলে তা যে ‘রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত’, সে কথাও মনে করিয়ে দিয়েছেন তাঁরা।

Advertisement

কিন্তু লকডাউন তুলে দেওয়ার কথা ভাবছে বহু দেশই। কারণ গৃহবন্দি দশায় অধিকাংশ দেশের অর্থনীতি ধুঁকছে। ইটালি যেমন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরে এমন আর্থিক মন্দার মুখে কখনও পড়েনি। একাধিক ব্যবসা-বাণিজ্য ভেঙে পড়ার মুখে। ইটালি, স্পেনের পরে আজ তালা খুলল ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসেরও। ১১ সপ্তাহ পরে রাস্তায় বেরোলেন প্যারিসবাসী। লকডাউন শিথিল করার সমর্থক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও। জুনের শেষে জি-৭ সম্মেলনের আয়োজন করতে চলেছেন তিনি। গত মঙ্গলবার এ প্রসঙ্গে বলেছিলেন, ‘‘দেশের সব কিছু পুনরায় খুলে দেওয়ার এত বড় উদাহরণ আর হতে পারে না।’’ আজ অবশ্য ট্রাম্পের নিমন্ত্রণ ফিরিয়ে দিয়েছেন জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল। জার্মান সরকারের মুখপাত্র স্টিফেন সেবার্ট বলেন, ‘‘এখনও পর্যন্ত যে অতিমারি পরিস্থিতি চলছে, তাতে তিনি ব্যক্তিগত ভাবে ওই সম্মেলনে যোগ দিতে ওয়াশিংটন যেতে পারবেন না।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement