প্রতীকী ছবি।
আর মাত্র এক সপ্তাহ পরে বেজিংয়ে শীতকালীন অলিম্পিক্সের আসর বসতে চলেছে। তাতে ঘরোয়া দর্শকদের প্রবেশাধিকার না থাকলেও দেশ-বিদেশের প্রায় ২ হাজার খেলোয়াড় এবং অলিম্পিক্সের সঙ্গে যুক্ত ২৫ হাজার অতিথি, সদস্যেরা পৌঁছতে শুরু করেছেন চিনের রাজধানীতে। এ দিকে করোনা সংক্রমণের বিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি নিয়ে লড়াই করতে থাকা চিন কিছুতেই বাঁধন আলগা করতে রাজি নয়। করোনা ঠেকাতে তাই অভিনব উপায় বার করেছে তারা। অতিথি আপ্যায়নে এ বার মানুষ নয়, রোবট বাহিনী নিযুক্ত করেছে চিন।
সোশ্যাল মিডিয়া এবং সংবাদ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া কিছু ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে, বেজিংয়ের হোটেলে রুম সার্ভিসের জন্য রোবট পাঠানো হচ্ছে। অতিথিরা রোবটে বসানো প্যানেলে নির্দিষ্ট পিন নম্বর দিলেই খুলে যাচ্ছে ঢাকনা। রোবটের ভিতরে রাখা খাবারের পাত্র তুলে নিলে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে দরজা। অন্য একটি হোটেলের বলরুমে আবার বড়সড় আয়োজন। বলরুমের ছাদে বসানো প্যানেল জুড়ে যাতায়াত করছে রোবটেরা। ছাদ থেকে টেবিলের উপরে নেমে আসছে তারা। খাবার পরিবেশন করে আবার প্যানেলে ফিরে যাচ্ছে। ভোজের শেষে প্লেট তুলে নিয়ে যাচ্ছে রোবটই। কোথাও আবার রোবটই রাঁধুনি। দক্ষ হাতে বানাচ্ছে হ্যামবার্গার কিংবা স্ট্রবেরি আইসক্রিম। অতিমারির সময়ে মানুষের ছোঁয়াচ বাঁচিয়ে পরিষেবা চালু রাখতে তাই প্রযুক্তিতেই ভরসা রেখেছে চিন।
বিশ্বে করোনা
সংবাদ সংস্থা সূত্রের খবর, অলিম্পিক্সে যোগ দিতে আসা বিদেশি অতিথিদেরও কড়া কোভিড বিধি মেনে চলার নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছে। অনুমতি ছাড়া হোটেল চত্বর ছাড়া যাবে না। এ দিকে তার মধ্যেই বেজিংয়ের কাছে শিয়ং প্রদেশে করোনা সংক্রমণ ছড়ানোয় লকডাউন জারি করা হয়েছে। তবে অন্যান্য জায়গায় লকডাউনের কথা সরকার ঘোষণা করলেও শিয়ংয়ের বিষয়টি গোপন রেখেছে তারা। যা নিয়ে ক্ষোভ ছড়িয়েছে বাসিন্দাদের মধ্যে। অলিম্পিক্সের মুখে আতঙ্ক যাতে না-ছড়ায় তার জন্যেই এই গোপনীয়তা বলে মনে করা হচ্ছে। অন্য দিকে, ইউরোপে করোনা সংক্রমণের রেখচিত্র ঊর্ধ্বমুখী হলেও সমস্ত করোনা বিধি নিষেধ এ বার তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল ডেনমার্ক।