সতর্কতা সত্ত্বেও বেড়ে চলেছে আক্রান্তের সংখ্যা। ছবি: এএফপি।
নভেল করোনাভাইরাসের প্রকোপে মৃত্যুসংখ্যা বেড়েই চলেছে। রবিবার ফের ৪২ জনের মৃত্যু হয়েছে চিনে। যার মধ্যে অধিকাংশই হুবেই প্রদেশের উহানে ঘটেছে। তাতে সবমিলিয়ে চিনে নভেল করোনার জেরে মৃত্যুসংখ্যা ২ হাজার ৯১২-তে গিয়ে ঠেকেছে। গতকালই নতুন করে সেখানে আরও ২১২ জন আক্রান্ত হয়েছেন বলে জানিয়েছে সে দেশের ন্যাশনাল হেল্থ কমিশন। বিশ্ব জুড়ে করোনায় মৃত্যুসংখ্যা তিন হাজার পেরিয়ে গিয়েছে।
মৃত্যুমিছিল অব্যাহত থাকলেও, সংক্রমণের সংখ্যা আগের চেয়ে অনেকটাই কমেছে বলে সম্প্রতি দাবি করে বেজিং। তবে চিনের বাইরে, অন্যান্য দেশগুলিতে ঠিক উল্টো ছবি ধরা পড়েছে। করোনায় আক্রান্ত হয়ে ইরানে গতকাল ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এই নিয়ে সেখানে মৃত্যুসংখ্যা গিয়ে ঠেকল ৫৪-তে। সে দেশে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৯৭৮।
একই পরিস্থিতি দক্ষিণ কোরিয়াতেও। করোনায় আক্রান্ত হয়ে রবিবার আরও চার জনের মৃত্যু হয়েছ সেখানে। তাতে মৃত্যুসংখ্যা গিয়ে ঠেকেছে ২২-এ। নতুন করে ৪৭৬ জনের শরীরে করোনা ভাইরাস ধরা পড়েছে। সবমিলিয়ে সেখানে আক্রান্তের সংখ্যা ৪ হাজার ২১২।
আরও পড়ুন: করোনাভাইরাস: ইরানে মৃত্যু কত, ধন্দে আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞেরা
ইতালি হয়ে ইউরোপে করোনা প্রবেশ করেছে। ইতালিতে ১ হাজার ৬৯৪ জনের শরীরে সংক্রমণ ধরা পড়েছে। ফ্রান্সে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১৩০। বিপদ রুখতে প্যারিসে সমস্ত দর্শনীয় স্থানগুলি সাময়িক বন্ধ রাখার দাবি উঠেছে।
নভেল করোনায় আক্রান্ত হয়ে আমেরিকায় এখনও পর্যন্ত দু’জনের মৃত্যু হয়েছে। শনিবার সিয়াটলের কাছে ৭০ বছর বয়সি এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। কার্কল্যান্ডের একটি হাসপাতালে চিকিৎসা চলছিল তাঁর। শুক্রবার ওই হাসপাতালেই পঞ্চাশোর্ধ আর এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়। ওয়াশিংটনে এখনও পর্যন্ত ১২ জনের শরীরে সংক্রমণ ধরা পড়েছে। রবিবার সিয়াটলে আরও চার জনের শরীরে সংক্রমণ ধরা পড়ে। ক্যালিফোর্নিয়ায় দুই স্বাস্থ্যকর্মীও করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। রবিবার রাতে নিউ ইয়র্কেও এক মহিলার শরীরে করোনাভাইরাস ধরা পড়েছে।
আরও পড়ুন: ‘অ্যাকাডেমিতে শেখানো হয় না’, এমন এক ভয়ঙ্কর কাজ করে পোস্ট করল পুলিশ!
তাইল্যান্ডে এখনও পর্যন্ত ৪৩ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। গত বছরের শেষ দিকে চিনের হুবেই থেকেই করোনা ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে। এখনও পর্যন্ত গোটা বিশ্বে ৮০ হাজারের বেশি মানুষ তাতে আক্রান্ত হয়েছেন। করোনার হাত থেকে নাগরিকদের নিরাপত্তা দিতে আন্তর্জাতিক সীমানা পর্যন্ত সাময়িক বন্ধ রাখতে শুরু করেছে একাধিক দেশ। এতে অর্থনৈতিক ক্ষেত্রেও প্রভাব পড়তে শুরু করেছে।