চেন্নাইয়ে গাড়ি থেকে প্রতিষেধক নামানোর কাজ চলছে। ছবি: পিটিআই।
টিকাকরণ শুরু হলেও এখনই হার্ড ইমিউনিটি বা গোষ্ঠী প্রতিরোধ গড়ে ওঠার কোনও সম্ভাবনা নেই। আর ২০২১-এর মধ্যে তা গড়ে ওঠা একেবারেই অসম্ভব। নোভেল করোনাভাইরাসের প্রতিষেধক নিয়ে যখন অতিমারি কাটিয়ে উঠতে মরিয়া গোটা বিশ্ব, সেইসময় এমনটাই জানিয়ে দিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা(হু)।
বিশ্বজুড়ে টিকাকরণ প্রক্রিয়ার মধ্যে সোমবার সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হন হু-র মুখ্য গবেষক সৌম্যা স্বামীনাথন। তিনি বলেন, ‘‘হার্ড ইমিউনিটি তো দূর ২০২১-এ কোনও স্তরের ইমিউনিটিই গড়ে তুলতে পারব না আমরা।’’ তাঁর যুক্তি, গোটা বিশ্বে সংক্রমণ ৯ কোটির বেশি মানুষকে ছুঁয়ে গিয়েছে। মৃত্যুও ২ কোটি ছুঁইছুঁই। সংক্রমণের ছড়িয়ে পড়া রুখতে হলে জনসংখ্যার নিরিখে যথেষ্ট প্রতিষেধক উৎপাদন এবং প্রয়োগ করতে হবে। সেটা যথেষ্ট সময়সাপেক্ষ।
তাই আগের মতোই সতর্কতা অবলম্বন করার পরামর্শ দিয়েছেন সৌম্যা। তিনি জানিয়েছেন, সংক্রমণ থেকে দূরে থাকতে হলে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। ঘন ঘন হাত ধোওয়া এবং সর্বদা মাস্ক পরে থাকাও বাধ্যতামূলক।
আরও পড়ুন: কোভিড টিকা কারা, কী ভাবে পাবেন, আনন্দবাজার ডিজিটালে পড়ে নিন
আরও পড়ুন: রাজ্যে পৌঁছল করোনা টিকা কোভিশিল্ডের ৭ লক্ষ ডোজ
শুধু তাই নয়, ব্রিটেনে মাথাচাড়া দেওয়া কোভিডের নয়া স্ট্রেন বা প্রজাতিকে নিয়েও উদ্বিগ্ন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। করোনার নয়া প্রজাতি আরও দ্রুত গতিতে সংক্রমণ ছড়াতে সক্ষম বলে জানিয়েছেন তাঁরা। সোমবার ইংল্যান্ডে ৭টি নতুন টিকাকরণ কেন্দ্র খোলা হয়েছে। কিন্তু সেখানকার চিফ মেডিক্যাল অফিসার ক্রিস হুইটির আশঙ্কা, আগামী কয়েক সপ্তাহে পরিস্থিতি ভয়ঙ্কর আকার ধারণ করতে পারে। বিশেষ করে স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য সময়টা অত্যন্ত উদ্বেগের।