ফাইল চিত্র।
আড়াই বছর হয়ে গিয়েছে, কোভিড-অতিমারি আক্রান্ত গোটা বিশ্ব। ৫৬ কোটির বেশি সংক্রমণ। ৬৩ লক্ষ ৮০ হাজার মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন কোভিডে। যদিও বিজ্ঞানীরা আশঙ্কা করেছেন, করোনাভাইরাসের সবচেয়ে বিপজ্জনক ও ক্ষতিকর স্ট্রেনটির আবির্ভাব হয়তো হতে চলেছে। এই মুহূর্তে চিন্তার মূল কারণ ওমিক্রনের সাব-ভেরিয়েন্ট বিএ.২.৭৫।
গত আড়াই বছরে বহু বার ভোল বদলেছে করোনাভাইরাস। মাঝে সংক্রমণ কিছুটা কমেছিল। কিন্তু নতুন করে সংক্রমণ বাড়ছে পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে। এ বারে একটি নতুন সাব-ভেরিয়েন্ট হইচই ফেলে দিয়েছে, ওমিক্রনের সাবভেরিয়েন্ট ‘বিএ.২.৭৫’। এর ডাকনাম রাখা হয়েছে ‘সেন্টরাস’। নেদারল্যান্ডসে দেখা মিলেছে এর। উত্তরপূর্বের গেলডারল্যান্ড অঞ্চলে ২৬ জুন সংগ্রহ করা একটি নমুনায় মিলেছে স্ট্রেনটি। ‘ডাচ ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব পাবলিক হেল্থ’-এর তরফে বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে, নেদারল্যান্ডসে ওমিক্রনের সাব-ভেরিয়েন্টটি মিলেছে।
এ দেশে অবশ্য প্রথম আবির্ভাব নয়। প্রথম সেন্টরাসের দেখা মেলে ভারতে, গত মে মাসে। তার পর থেকে অন্তত ১৪টি দেশে এর উপস্থিতির কথা জানা গিয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, জার্মানি, জাপান, ব্রিটেন, আমেরিকা। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)-র আধিকারিক মারিয়া ভ্যান কেরকোভ এ বিষয়ে নিশ্চিত করে জানিয়েছেন।
তবে সেন্টরাস সম্পর্কে এখনও পর্যন্ত খুব সামান্য তথ্য জানা গিয়েছে। হু-র প্রধান বিজ্ঞানী সৌম্যা স্বামীনাথন জানিয়েছেন, নতুন সাব-ভেরিয়েন্টটি সম্পর্কে ভাল ভাবে জানতে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। তবে এ পর্যন্ত খুব সামান্য সিকোয়েন্সিং করা সম্ভব হয়েছে। সৌম্যা টুইট করেন, ‘‘সাব-ভেরিয়েন্টটি দেখে বোঝা যাচ্ছে, কিছু মিউটেশন বা পরিবর্তন ঘটেছে স্পাইক প্রোটিনের রিসেপটর বাইন্ডিং ডোমেনে। অতএব এর গতিবিধির উপরে ভাল করে লক্ষ্য রাখতেই হবে।’’ তবে এটি কতটা ভয়ানক বা ক্ষতিকর, তা নিয়ে এখনই মন্তব্য করতে চাননি সৌম্যা।
জেনিভার ‘ইনস্টিটিউট অব গ্লোবাল হেল্থ অ্যাট দ্য ইউনিভার্সিটি’-র ডিরেক্টর আঁতোয়া ফ্লাহল্ট এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, ওমিক্রনের অন্য ভেরিয়েন্টগুলির থেকে বিএ.২.৭৫ আরও বেশি সংক্রামক হতে পারে। এর জন্যই ভারতে সংক্রমণ বাড়ছে। ফ্লাহল্ট বলেন, ‘‘ভারতে এটি এখন মূল সংক্রামক স্ট্রেন। প্রশ্ন হচ্ছে, গোটা বিশ্বেই কি এটি ডমিন্যান্ট স্ট্রেন হয়ে উঠবে?’’