Coronavirus

এ বারেও বিষণ্ণ ইস্টার সানডে

গুড ফ্রাইডের পরের রবিবার খুবই আনন্দের দিন বলে মনে করেন খ্রিস্টানরা। জিশু খ্রিস্ট ওই দিনই ফের জন্মেছিলেন বলে মনে করা হয়।

Advertisement

পি কে বালচন্দ্রন

কলম্বো শেষ আপডেট: ১৩ এপ্রিল ২০২০ ০৪:৫২
Share:

ইস্টার সানডে-তে ফাঁকা সেন্ট অ্যান্টনিজ গির্জা। ছবি: এএফপি।

ইস্টার সানডে এ বার বিষণ্ণই কাটল শ্রীলঙ্কায়।

Advertisement

গত বছর এই দিনেই ধারাবাহিক বিস্ফোরণে কেঁপে উঠেছিল কলম্বো ও তার আশপাশের এলাকা। জঙ্গি হামলায় তছনছ হয়ে গিয়েছিল অনেকগুলো জীবন। তবে দিনটা ছিল এপ্রিলের ২১ তারিখ।

গুড ফ্রাইডের পরের রবিবার খুবই আনন্দের দিন বলে মনে করেন খ্রিস্টানরা। জিশু খ্রিস্ট ওই দিনই ফের জন্মেছিলেন বলে মনে করা হয়। তাই এই দিনটা হল তাঁদের উৎসবের দিন। কিন্তু গত বছরের ভয়াবহ অভিজ্ঞতা আর এ বছর লকডাউনের জন্য বাড়িতেই ইস্টার সানডে পালন করলেন শ্রীলঙ্কাবাসী।

Advertisement

জঙ্গিদের নিশানায় সে দিন ছিল তিনটি গির্জা। নিশানা করা হয়েছিল কলম্বোর একাধিক পাঁচতারা হোটেলকেও। মারা গিয়েছিলেন কমপক্ষে আড়াইশো জন। আহত হন পাঁচশোরও বেশি। ইস্টার সানডে তাই আর আনন্দের নেই শ্রীলঙ্কায়। এ বছর আবার তার সঙ্গে রয়েছে করোনাভাইরাস সংক্রমণের আশঙ্কাও।

এমনিতে এই দিনটা উপলক্ষে প্রচুর ভিড় হয় শ্রীলঙ্কার গির্জাগুলিতে। ঠিক যেমনটা ছিল গত বছর। কিন্তু এ বার কার্ডিনাল
ম্যালকম রঞ্জিতের অনুরোধে সব ক্যাথলিক গির্জাই আজ বন্ধ ছিল। কয়েকটি গির্জায় আজ বিশেষ ‘মাস’-এর আয়োজন করা হয়
গুটিকয়েক লোক নিয়ে। আজকের প্রার্থনা প্রায় সব গির্জা থেকেই অনলাইনে প্রচার করা হয়। বিশেষ প্রার্থনায় আজ কার্ডিনাল জঙ্গিদের উদ্দেশে বলেছেন, ‘‘এতগুলো জীবন শেষ হয়ে যাওয়ার পরেও আমরা ওদের ক্ষমা করে দিয়েছি।’’ শ্রীলঙ্কার সংখ্যালঘু সম্প্রদায় যাতে
কোনও রকম প্রতিহিংসার শিকার না-হয়, সে অনুরোধও করেছেন কার্ডিনাল।

সেন্ট অ্যান্টনিজ গির্জায় গত বছর হামলার সময়ে আশ্চর্য ভাবে বেঁচে গিয়েছিলেন ফাদার জুড মারিয়ারত্নম। তাঁর মুখেও আজ ক্ষমার কথাই শোনা গিয়েছে। তাঁকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, এই হামলার পরেও কি আপনাদের ঈশ্বরে বিশ্বাস হারায়নি? ফাদার বলেছেন, ‘‘আমাদের বিশ্বাস বরং আরও দৃঢ় হয়েছে।’’

(লেখক সাংবাদিক)

(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement