International news

চিনে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৮০, বন্ধ অফিস, ভাইরাস আতঙ্কে নববর্ষের ছুটি বাড়াল সরকার

সোমবারই একধাক্কায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ৮০! হু হু করে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যাও।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

বেজিং শেষ আপডেট: ২৭ জানুয়ারি ২০২০ ১৬:৪২
Share:

করোনাভাইরাস আতঙ্কে কাঁপছে চিন। ছবি: সংগৃহীত।

করোনাভাইরাসের হানায় লাফিয়ে বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। গত রবিবার পর্যন্ত যেখানে চিনে মৃতের সংখ্যা ছিল ৫৬। সোমবারই একধাক্কায় তা বেড়ে দাঁড়ালো ৮০! হু হু করে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যাও। সে দেশের জাতীয় স্বাস্থ্য সংস্থার হিসেব বলছে, সোমবার পর্যন্ত মোট আক্রান্তের সংখ্যা ২,৭৪৪ জন।

Advertisement

কী ভাবে এই ভাইরাসের মোকাবিলা করা যায়, তা এখনও বুঝে উঠতে পারছে না চিনের সরকার। যে গতিতে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা বাড়ছে চিনে, তা সামাল দিতে রীতিমতো চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হচ্ছে সরকারকে। চিন ছাড়িয়ে দ্রুত গতিতে এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ছে তাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম, সিঙ্গাপুর, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, তাইওয়ান, নেপাল, মালয়েশিয়াতেও। সংক্রমণ ছড়িয়েছে ফ্রান্স, অস্ট্রেলিয়া এবং আমেরিকাতেও। সংক্রমণের ভয় গ্রাস করেছে ভারতকেও।

এ দিকে সোমবার, করোনাভাইরাসকে প্রতিহত করা নিয়ে চাপের মুখে সমস্ত দায় নিজের কাঁধে নিয়ে ইস্তফা দেওয়ার ইচ্ছাপ্রকাশ করেছেন করোনাভাইরাসের উৎসস্থল উহানের মেয়র। জানিয়েছেন, তিনি এবং স্থানীয় কমিউনিস্ট পার্টি এর ‘যাবতীয় দায় স্বীকার’করছেন। তবে তাঁর ইস্তফাপত্র গ্রহণ করা হবে কি না, তা এখনও জানানো হয়নি।

Advertisement

আরও পড়ুন: টানা ৪০ দিন যুদ্ধ করার মতো অস্ত্র মজুত শুরু করল ভারত

করোনাভাইরাসকে প্রতিহত করার জন্য এবং তা ছড়িয়ে পড়া থেকে আটকানোর জন্য যাবতীয় ব্যবস্থা নিয়েছে সে দেশের সরকার। সংক্রমণ যাতে নতুন করে দেশের অন্য প্রান্তে ছড়িয়ে না পড়ে তার জন্য ছোট ছোট মেডিক্যাল টিম গঠন করে নজরদারি চালানো হচ্ছে। সবচেয়ে বেশি আক্রান্তের সংখ্যা চিনের উহান ও হুবেই প্রদেশে। আরও বেশ কয়েকটি শহরেও দ্রুত গতিতে সংক্রামিত হচ্ছে এই ভাইরাস। ইতিমধ্যেই এমন ১৮টি শহরকে নজরবন্দি করেছে চিন।

আরও পড়ুন: কলকাতার শীত এ বার নোবেলবর্ষী, শহরের লাভ হল কি!

২৫ জানুয়ারি ছিল চিনের নববর্ষ। এটাই চিনের সবচেয়ে বড় উৎসব। এ বারে সেই উৎসব অত্যন্ত ম্লানভাবে কেটেছে চিনে। ৩০ জানুয়ারির পরিবর্তে ২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত উৎসবের ছুটি বাড়িয়ে দিয়েছে সে দেশের সরকার।বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান এবং সংস্থাগুলি বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে। তাদের কর্মচারীদের প্রয়োজনে বাড়ি থেকেই কাজের সুবিধা দিতে বলা হয়েছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement