মৃত্যুমিছিল অব্যাহত চিনে। ছবি: এএফপি।
সংক্রমণের সংখ্যা ধীরে ধীরে কমছে বলে আগেই দাবি করেছিল চিন। এ বার তার স্বপক্ষে পরিসংখ্যান প্রকাশ করল তারা। নভেল করোনার উৎপত্তি যেখানে, সেই হুবেই প্রশাসনের তরফে জানানো হল, মঙ্গলবার সেখানে নতুন করে ১৬৯৩ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। সোমবার এই সংখ্যাটা ছিল ১৮০০-র বেশি।আগামী কয়েক দিনে পরিস্থিতির আরও কিছুটা উন্নতি হবে বলে আশাবাদী বেজিং। তবে এ ব্যাপারে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)-র পরিসংখ্যান অনুযায়ী, আক্রান্তের সংখ্যা সামান্য কমলেও, চিনে এখনও মৃত্যু মিছিল অব্যাহত। কমা তো দূর, হু জানাচ্ছে,সোমবার ৯৩টি মৃত্যুর ঘটনা ঘটলেও, মঙ্গলবার সংখ্যাটা একধাক্কায় গিয়ে পৌঁছেছে ১৩২-এ।
নভেল করোনার প্রকোপে গত দু’মাস ধরেই যুঝছে চিন। তবে সেখানে ঠিক কতজন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন, তা নিয়ে এত দিন ধন্দ ছিল। সম্প্রতি সে দেশের ন্যাশনাল হেলথ কমিশনের তরফে একটি পরিসংখ্যান প্রকাশ করা হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে,এখনও পর্যন্ত সে দেশে মোট ৭৪ হাজার ১৮৫ জন মানুষ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন, যার মধ্যে ৩১টি প্রদেশ মিলিয়ে ২ হাজার ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। রোগমুক্ত হয়ে হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরে গিয়েছেন ১৪ হাজার ৩৭৬ জন।
মূল চিনা ভূখণ্ডের বাইরেও একাধিক দেশে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে ইতিমধ্যেই। হংকংয়ে এখনও পর্যন্ত ৫৮ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে ১ জনের মৃত্যু হয়েছে। ম্যাকাওয়ে করোনাভাইরাস আক্রান্তের সংখ্যা ১০। জাপানে ৬১৪ জনের শরীরে করোনাভাইরাস মিলেছে, যার মধ্যে ৫৪২ জনই ইয়োকোহোমা বন্দরে আটকে থাকা ‘ডায়মন্ড প্রিন্সেস’-এ ছিলেন। ওই জাহাজে শতাধিক ভারতীয়ও ছিলেন।
আরও পড়ুন: করোনায় মৃত হাসপাতালের ডিরেক্টরও
আরও পড়ুন: ‘ভারত আমাদের সঙ্গে ভাল ব্যবহার করে না’, সফরের আগে সুর কাটল ট্রাম্পের মন্তব্য
সিঙ্গাপুরে এখনও পর্যন্ত ৮১ জনের শরীরে করোনাভাইরাস মিলেছে। তাইল্যান্ডে ৩৫ জন, দক্ষিণ কোরিয়ায় ৪৬ জন, মালয়েশিয়ায় ২২ জন, তাইওয়ানে ২২ জন, ভিয়েতনামে ১৬ জন এবং ফিলিপিন্সে ৩ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এশিয়ার বাইরে জার্মানি, আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়া, ফ্রান্স এবং ব্রিটেনে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা যথাক্রমে ১৬, ১৫, ১৪, ১২ এবং ৯।
সংযুক্ত আমিরশাহি, কানাডা, ইতালি, রাশিয়া এবং স্পেনে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা যথাক্রমে ৯, ৮, ৩, ২ এবং ২। এ দেশে কেরলে ৩ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। নেপাল, শ্রীলঙ্কা, সুইডেন, কম্বোডিয়া, ফিনল্যান্ড এবং মিশর থেকে এখনও পর্যন্ত ১ জন করে আক্রান্তের খবর মিলেছে।