ছবি এএফপি।
করোনা ছড়ানো নিয়ে আশঙ্কা বাড়িয়ে সামনে এল চিনের উহানের একটি বাসযাত্রার তথ্য। করোনার উপসর্গ থাকা এক ব্যক্তির থেকে কী ভাবে অন্য বাসযাত্রীরাও আক্রান্ত হয়েছিলেন, উহানের সেই গবেষণার খবর ভারতের পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ বাড়িয়ে দিচ্ছে।
ঘটনাটি ১২ জানুয়ারির। উহানে সংক্রমণ তখনও ভয়াবহ রূপ নেয়নি। চালু রয়েছে বাস-ট্রেন। সেই সময়ে হাঁচি-কাশি নিয়ে একটি বাসে সওয়ার হয়েছিলেন এক ব্যক্তি। ওই বাসের সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে ‘হুনান প্রভিন্সিয়াল সেন্টার ফর ডিজ়িজ়েস কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন’-এর গবেষকদের দাবি, ওই ব্যক্তির থেকে বাসের ৯ জন যাত্রী আক্রান্ত হয়েছিলেন। বাসটির বাইরেও চার জন আক্রান্ত হন তাঁর থেকে।
গবেষকেরা জানাচ্ছেন, দূরপাল্লার বাসটিতে ওই ব্যক্তি কারও সঙ্গে কথা বলেননি। কাউকে স্পর্শও করেননি। বসেছিলেন একেবারে পিছনের দিকের আসনে। চার ঘণ্টার বাসযাত্রায় তাঁর আশপাশের লোকেরা তো বটেই, ৬ সারি সামনে বসা এক যাত্রীও সংক্রমিত হয়েছিলেন। আবার আক্রান্ত ব্যক্তি নেমে যাওয়ার পরে ওই বাসে ওঠা দু’জন সংক্রমিত হন। সব চেয়ে দূরের যিনি সংক্রমিত হয়েছিলেন, তিনি ছিলেন সাড়ে চার মিটার দূরত্বে।
আর এখানেই উঠেছে প্রশ্ন। ভারতে পরিযায়ী শ্রমিকদের ফেরাতে শ্রমিক স্পেশাল ট্রেন চালু হয়েছে। আজ থেকে চালু হয়েছে নির্দিষ্ট রুটে বেশ কিছু যাত্রিবাহী ট্রেন। কিন্তু দেশে এই যে ট্রেনগুলি চলছে, তাতে যাত্রীদের মধ্যে এতটা ব্যবধান নেই। ফলে মাস্ক না-পরলে কিংবা সাবধানতা না-নিলে পরিস্থিতি কতটা ভয়াবহ হয়ে উঠতে পারে তা দেখাচ্ছে উহানের গবেষণা। বিজ্ঞানীদের অনুমান, হাঁচি বা কাশির সময়ে মুখ থেকে বার হওয়া ড্রপলেট থেকেই শুধু করোনা ছড়ায় না, প্লাস্টিক ও ধাতুর উপরেও অনেকক্ষণ করোনাভাইরাস বেঁচে থাকতে পারে। আর এক মিটারের যে নিরাপদ দূরত্বের কথা বলা হচ্ছে, প্রশ্ন উঠে গিয়েছে তা নিয়েও।