ছবি: রয়টার্স।
স্বস্তি দিচ্ছে না ‘ব্রিটেন স্ট্রেন’। শুধু অতিসংক্রামক নয়, করোনাভাইরাসের এই নয়া প্রজাতির হামলায় আক্রান্তের শরীরে চড়চড়িয়ে বাড়ছে ‘ভাইরাল লোড’।
সম্প্রতি প্রকাশিত একটি অনলাইন গবেষণাপত্রে এমনটাই দাবি করা হয়েছে। ব্রিটেনের জনস্বাস্থ্য বিভাগ তথা বার্মিংহাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধি মাইকেল কিড জানিয়েছেন, অন্য স্ট্রেনের সংক্রমণে যেখানে মাত্র ১০ শতাংশের শরীরে ভাইরাল লোড বাড়াবাড়ি পর্যায়ে পৌঁছচ্ছিল, একাধিক মিউটেশনের ফলে তৈরি নয়া স্ট্রেনটির ক্ষেত্রে তার হার দাঁড়িয়েছে প্রায় ৩৫ শতাংশে!
এরই মধ্যে কিছুটা আশার আলো দেখাচ্ছে নয়া গবেষণা। মন্ট্রিলের ম্যাকগ্রিল বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি গবেষক দলের দাবি, করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সাফল্য দিচ্ছে আদিম মানব নিয়েন্ডারথালের থেকে উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া বিশেষ ধরণের ওএএস১ প্রোটিন। সম্প্রতি প্রকাশিত গবেষণালব্ধ ফল বলছে, যাদের শরীরে এই প্রোটিন রয়েছে, করোনার সঙ্গে যুঝতে তারা বেশি সক্ষম। মধ্য-দক্ষিণ আফ্রিকান, ইউরোপীয় কিংবা এশীয়দের একাংশের মধ্যে নিয়েন্ডারথালের ডিএনএ এবং এই বিশেষ প্রোটিনের অস্তিত্ব এখনও আছে বলে দাবি গবেষকদের।
তবে ব্রিটেন-স্ট্রেন থেকে ভাইরাল লোড বাড়ার বিষয়টি চিন্তা বাড়াচ্ছে। ভাইরাল লোড বেশি মানে, ভাইরাসের এই নয়া স্ট্রেন রক্তে প্রবেশ করার পরে কার্যত বিনা বাধায় লাগাতার নিজের প্রতিলিপি তৈরি করে যাচ্ছে। তাতেই বাড়ছে বিপদ। কী ভাবে এটা হচ্ছে, তা নিয়েও গবেষণা চলছে। ব্রিটেনের নয়া স্ট্রেন ইতিমধ্যেই ৯-১০টি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। দক্ষিণ আফ্রিকায় আবার অন্য একটি স্ট্রেন ভাবাচ্ছে বিশেষজ্ঞদের। ব্রিটেন-স্ট্রেন মিলেছিল আগেই, আজ জাপানে খোঁজ মিলেছে এই স্ট্রেনটিরও। ১৯ ডিসেম্বর দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে জাপানে ফেরা এক মহিলার শরীরে ওই ৫০১.ভি২ স্ট্রেনটি মিলেছে।
এ দিকে সিডনিতে করোনার কোনও একটি অজানা বা নতুন স্ট্রেনের কারণে চিন্তিত প্রশাসন। পরিস্থিতি হাতের বাইরে না-গেলেও নতুন করে সতর্কতা জারি হচ্ছে অস্ট্রেলিয়ার বেশ কিছু অংশে।