বন্ধ শপিং মল। ছবি এএফপি।
দোকান বন্ধ। খোলেনি পাব, আর্ট গ্যালারি কিংবা মিউজ়িয়ামের দরজা।
বৃহস্পতিবার এ দেশে ছিল বনফায়ার নাইট। এই রাতে বাজি পোড়ানোই এখানকার রীতি। কিন্তু এ বছর সে-সব ঘটেনি। উল্টে মানুষকে ঘরের ভিতরে থাকতে বলা হয়েছে। কেউ যদি লকডাউনের নিয়ম ভাঙেন, ২০০ পাউন্ড জরিমানা দিয়ে শুরু। এক-এক বার নিয়ম ভাঙলেই তা দ্বিগুণ হতে থাকবে। আর লকডাউনের তোয়াক্কা না-করে কেউ বড়সড় জমায়েতের চেষ্টা করলে তো কথাই নেই— গুনতে হবে ১০ হাজার পাউন্ড! শারীরচর্চা করতে বা মুদির দোকানের জিনিসপত্র কিনতে অবশ্য বাইরে যেতে পারবেন সাধারণ মানুষ। তবে আগামী এক মাস জুড়ে রেস্তরাঁয় যাওয়ার প্রশ্নই উঠছে না। অত্যাবশ্যক নয়, এমন দোকানগুলি বন্ধই রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তবে খোলা থাকছে স্কুল ও বিশ্ববিদ্যালয়ের দরজা।
অন্য দিকে, করোনা নিরাময়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে পারে পরিচিত ব্যথানাশক অ্যাসপিরিন। এমনটাই মনে করছেন ব্রিটেনের বিজ্ঞানীরা। করোনা রোগীদের শরীরে রক্ত জমাট বাঁধার সঙ্কট কমিয়ে আনতে এই ওষুধ কার্যকর কি না, তা খতিয়ে দেখতে দু’হাজার রোগীর উপর ট্রায়াল চালাবে ব্রিটেনের বিজ্ঞানীরা। সেই ডেটা মিলিয়ে দেখা হবে দু’হাজার অন্য কোভিড রোগীর ডেটার সঙ্গে যাঁদের সাধারণ পদ্ধতিতে চিকিৎসা চলেছে। যে হেতু রক্তের তরলতা বাড়াতে এই ওষুধ ব্যবহার হয় তাই করোনা রোগীদের ক্ষেত্রেও তা কাজে আসতে পারে বলে আশাবাদী বিজ্ঞানীরা।
আরও পড়ুন: ‘একের পর এক মিথ্যা’, ট্রাম্পের ভাষণের লাইভ সম্প্রচার বন্ধ করল আমেরিকার টিভি চ্যানেলগুলি
কোভিড-১৯ অতিমারির এখনও কোনও উপযোগী প্রতিষেধক মেলেনি। সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ের আছড়ে পড়ার আশঙ্কায় দেশে দেশে ফের কড়া হচ্ছে বিধিনিষেধ। যদিও তার মধ্যেই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)-র ৭৩ তম ওয়ার্ল্ড হেল্থ অ্যাসেম্বলি (ডব্লুএইচএ)-র ভার্চুয়াল সেশনে করোনা নিয়ে আশার বার্তাই শোনালেন বিশেষজ্ঞরা। তাঁদের মতে, সময়ের সঙ্গে বিজ্ঞান, সমাধান এবং পারস্পরিক সাহায্যের মাধ্যমে করোনাকে হারিয়ে ফের স্বাভাবিক জীবনে ফিরবে বিশ্ব। যদিও, পরবর্তী অতিমারির জন্য এখন থেকেই কোমর বাঁধার উপদেশ দিয়েছেন হু-র বিশেষজ্ঞরা। সেই পরিপ্রেক্ষিতে ইন্টারন্যাশনাল হেল্থ রেগুলেশন (২০০৫) নির্দেশিত বিধি মেনে একটি খসড়া বিধি তৈরি করবে ডব্লুএইচএ। যাতে পরবর্তীকালে এ ধরনের কোনও স্বাস্থ্য সঙ্কট দেখা দিলে বিশ্ব তার সঙ্গে লড়াইয়ে প্রস্তুত থাকে।
আরও পড়ুন: কোভিডের চিকিৎসায় অ্যাসপিরিন কাজে আসবে? খতিয়ে দেখবেন ব্রিটেনের গবেষকরা
এ দিকে দ্বিতীয় ঢেউয়ের আশঙ্কায় শনিবার থেকে আগামী তিন সপ্তাহের জন্য লকডাউন শুরু হচ্ছে গ্রিসে। সুপারমার্কেট এবং ওষুধের দোকান ছাড়া বন্ধ থাকবে সব কিছুই। কোনও কারণে বেরোনোর প্রয়োজন হলে এসএমএস বা ফোন করে কর্তৃপক্ষের থেকে আগে অনুমতি নিয়ে রাখলে তবেই পা ফেলা যাবে বাইরে।