প্রতীকী চিত্র।
জাপান উপকূলে আটকে থাকা ‘ডায়মন্ড প্রিন্সেস’-এর করোনাভাইরাসে আক্রান্ত দুই যাত্রীর মৃত্যুর খবরে নতুন করে আতঙ্ক ছড়াল জাহাজে। ওই জাহাজে থাকা ভারতীয় এক ক্রু সদস্য জানিয়েছেন, জাপানের একটি হাসপাতালে তাঁদের মৃত্যু হয়েছে। তাঁদের এক জন মহিলা। দু’জনের বয়সই ৮০-র কাছাকাছি।
শুধু তা-ই নয়, ওই জাহাজের ভারতীয় কর্মী স্বরূপ চম্পাদার জানিয়েছেন, গত দু’দিনে আরও ১৪৫ যাত্রী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার জাহাজের ক্যাপ্টেন এমনই ঘোষণা করেছেন। এ নিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা ছুঁল ৬২৯।
এ দিন স্বরূপ ফোনে বলেন, ‘‘মৃত্যুর খবরে মানসিক ভাবে ভেঙে পড়েছেন অনেকে। আমিও। এত দিন মানসিক ভাবে লড়াই করার সাহস ছিল। ক্রমশ তা হারিয়ে ফেলছি।’’ তিনি জানান, অন্য কয়েকটি দেশের যাত্রী ও কর্মীদের সরকারের তরফে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করা হলেও নয়াদিল্লি কী পদক্ষেপ করছে তা নিয়ে তাঁরা অন্ধকারে। স্বরূপ বলেন, ‘‘বাড়িতে আমি একমাত্র উপার্জনশীল। বাবা, মা এবং স্ত্রী রয়েছেন। আমার চিন্তায় বাবা-মা অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। বৃহস্পতিবার ফের জাপানে ভারতীয় রাষ্ট্রদূতকে ই-মেল পাঠিয়েছি। আজকের পরিস্থতিতি নিয়ে। এখনও কোনও জবাব পাইনি। চিন্তায় রয়েছি।’’ তিনি জানিয়েছেন, এ দিন জাহাজের কর্মীদের মেডিক্যাল পরীক্ষা করা হয়। শোনা গিয়েছে, কর্মীদের আরও ১৪ দিন জাহাজে রাখা হবে।
ওই জাহাজের অন্য কর্মী, উত্তর দিনাজপুরের বিনয় সরকার বলেন, ‘‘মেডিক্যাল পরীক্ষার রিপোর্ট আসবে ২৩ ফেব্রুয়ারি। তার পরে দেশে ফিরতে পারব কিনা জানব। জাপানে ভারতীয় দূতাবাসের তরফে দেওয়া দেশে ফেরানোর ফর্মপূরণ করেছি। আশ্বাস মিলেছে দ্রুত দেশে ফেরানোর। কিন্ত কবে জানি না। বেশিরভাগ যাত্রী ও অন্য দেশের কর্মীরা চলে গিয়েছেন। আমরা এখনও অসহায়ের মতো অপেক্ষা করে রয়েছি।’’ বিনয় আরও বলেন, ‘‘মাঝেমধ্যে হতাশ হয়ে পড়লেও সহকর্মীদের সঙ্গে গান গেয়ে মন ভাল রাখার চেষ্টা করছি।’’
সংবাদ সংস্থার খবর, ভারতে আক্রান্ত তৃতীয় জনকেও আজ হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। এ দিকে, চিনের পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে ৩০ জুন পর্যন্ত তাদের সঙ্গে বিমান যোগাযোগ বন্ধ রাখার কথা জানাল এয়ার ইন্ডিয়া।