নতুন করে করোনা সংক্রমণের ঢেউ আছড়ে পড়েছে চিনে। প্রতীকী চিত্র।
নতুন করে করোনা সংক্রমণের ঢেউ আছড়ে পড়েছে চিনে। বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা, জুন মাসে শীর্ষ ছোঁবে সংক্রমণের রেখচিত্র। সপ্তাহে সাড়ে ছ’কোটি ছাড়াতে পারে সংক্রমিতের সংখ্যা। এর জন্য দায়ী করোনাভাইরাসের নতুন সাবভেরিয়েন্ট ‘এক্সবিবি’।
চিনে দীর্ঘদিন ‘করোনা শূন্য নীতি’ বহাল ছিল। গত বছর এ নিয়ে দেশবাসীর মধ্যে প্রবল উষ্মা তৈরি হয়। আচমকাই সমস্ত বিধিনিষেধ তুলে দেয় সরকার। সংক্রমণ বাড়তে শুরু করে হু হু করে। সাধারণ মানুষের দেহে রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি হয়। কিন্তু করোনাভাইরাসের নতুন ‘এক্সবিবি’ স্ট্রেনে এমনই পরিবর্তন ঘটেছে, যা মানুষের শরীরে তৈরি হওয়া রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতাকে কাবু করে ফেলছে। এ অবস্থায় প্রতিষেধকের খোঁজে চিন প্রশাসন। চিনা এপিডিমিয়োলজিস্ট ঝং নানশান জানিয়েছেন, এক্সবিবি ওমিক্রন সাবভেরিয়েন্টগুলিকে (এক্সবিবি. ১.৯.১, এক্সবিবি. ১.৫ এবং এক্সবিবি. ১.১৬) রুখতে দু’টি প্রতিষেধককে প্রাথমিক ভাবে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। তিনি এ-ও বলেছেন, আরও তিন-চারটি টিকাকে অনুমতি দেওয়া হবে শীঘ্রই। তবে এর বেশি কিছু জানাননি তিনি।
গত বছর শীতে চিনে করোনা শূন্য নীতি প্রত্যাহার হওয়ার পরে সংক্রমণ ব্যাপক ভাবে বেড়েছিল। দেশের ৮৫ শতাংশ বাসিন্দা সে সময়ে একসঙ্গে সংক্রমিত হয়ে পড়েছিলেন। কিন্তু তার থেকেও এ বারে সংক্রমণ বাড়বে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞেরা। তবে চিনা প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, সংক্রমণ বাড়লেও রোগীদের বাড়াবাড়ি হওয়ার আশঙ্কা কম। জনস্বাস্থ্য বিশারদেরা অবশ্য প্রবীণদের নিয়ে চিন্তায় রয়েছেন। তাঁরা চাইছেন, দ্রুত বুস্টার ডোজ় দেওয়া হোক। হাসপাতালে প্রয়োজনীয় অ্যান্টিভাইরাল ওষুধ যথেষ্ট পরিমাণে মজুত রাখার বিষয়েও জোরদিচ্ছেন তাঁরা।