কী কারণে মৃত্যু, তদন্তে পুলিশ। প্রতীকী ছবি।
কলেজ শিক্ষিকার দেহ উদ্ধার ঘিরে রহস্য দানা বাঁধল বাংলাদেশে। রবিবার সকালে নাটোর শহরের বলারিপাড়া এলাকার একটি বাড়ি থেকে ওই শিক্ষিকার দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আটক করা হয়েছে তাঁর স্বামীকে।
বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম ‘প্রথম আলো’ জানিয়েছে, মৃত শিক্ষিকার নাম খায়রুন নাহার (৪১)। কলেজেরই এক পড়ুয়া ২৩ বছর বয়সি মামুন হোসেনকে বিয়ে করেছিলেন তিনি। একটি ভাড়াবাড়িতে থাকতেন দম্পতি।
নাটোর সদর থানা সূত্রে খবর, রবিবার সকাল সাতটায় প্রতিবেশীদের ডেকে মামুন জানান যে, তাঁর স্ত্রী আত্মহত্যা করেছেন। তাঁদের ঘরে এসে প্রতিবেশীরা দেখেন যে, মেঝেয় পড়ে রয়েছে খায়রুনের দেহ। সন্দেহ হওয়ায় তাঁরা মামুনকে আটকে রাখেন। খবর দেওয়া হয় পুলিশকে।
মামুন দাবি করেন যে, সিলিং ফ্যানে ওড়না জড়িয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন খায়রুন। বাড়ির নিরাপত্তারক্ষী দাবি করেছেন, মামুনদের ঘরের ড্রয়িংরুমের সিলিং ফ্যানে এক টুকরো পোড়া কাপড় দেখা গিয়েছে। কাপড়ের কিছু অংশ মেঝেয় পড়ে ছিল। মামুনের দাবি, তিনি ঘরে ঘুমোচ্ছিলেন। শব্দ শুনে পাশের ঘরে এসে খায়রুনকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখেন তিনি। ওড়না খোলার জন্য তাতে তিনি আগুন ধরিয়ে দিয়েছিলেন।
পরিবার সূত্রে দাবি, মামুন ও খায়রুনের ছ’মাসের সম্পর্ক ছিল। গত বছরের ডিসেম্বরে তাঁরা বিয়ে করেন। ময়নাতদন্তের পরই মহিলার মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যাবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।