নেপালের উপপ্রধানমন্ত্রী রবি লামিছানে। ফাইল চিত্র।
খোদ উপপ্রধানমন্ত্রীর নাগরিকত্বই বৈধ নয়! তাই তাঁকে পদ থেকে সরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। দেশের শীর্ষ আদালতের রায় মেনে নিয়ে নেপালের উপপ্রধানমন্ত্রী তথা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রবি লামিছানে শুক্রবার তাঁর পদত্যাগপত্র জমা দিলেন প্রধানমন্ত্রী পুষ্পকমল দহাল ওরফে প্রচণ্ডর কাছে।
সুপ্রিম কোর্ট ৪৮ বছর বয়সি লামিছানের নাগরিকত্ব খারিজ করে দেওয়ায় তিনি যেমন দেশের প্রশাসনিক কোনও পদে থাকতে পারবেন না, তেমনই খারিজ হয়ে যাবে সংসদে তাঁর সদস্যপদও। এমনকি তাঁর দল রাষ্ট্রীয় স্বতন্ত্র পার্টি (আরএসপি)-র সভাপতি পদ থেকেও ইস্তফা দিতে হবে তাঁকে।
গত নভেম্বরে নেপালে সাধারণ নির্বাচন চলাকালীন এক দল আইনজীবী শীর্ষ আদালতের কাছে অভিযোগ করেন যে, লামিছানের নাগরিকত্ব বৈধ নয়। বিষয়টির নিষ্পত্তির জন্য সাংগঠনিক বেঞ্চ তৈরি করে সুপ্রিম কোর্ট। বিচারপতি হরেকৃষ্ণ কারকির নেতৃত্বাধীন সেই বেঞ্চ জানিয়ে দেয়, লামিছানের নাগরিকত্ব বৈধ নয়। তাই নির্বাচনে তাঁর জয় অবৈধ। সুপ্রিম কোর্টের এই রায়ের পরেই স্পষ্ট হয়ে যায়, দল এবং সরকারের যাবতীয় পদ থেকে অব্যাহতি নিতে হবে লামিছানেকে।
লামিছানে ২০১৪ সাল পর্যন্ত কর্মসূত্রে আমেরিকায় ছিলেন। ওই বছর তিনি নেপালে ফিরে আসেন। ২০১৫ সালে তিনি নেপালের পাসপোর্ট পান। তাঁর নাগকিরত্ব অবৈধ কি না, এই প্রশ্নের উত্তরে তিনি আগে জানিয়েছিলেন যে, সবই বিরোধীদের অপপ্রচার। কিন্তু সুপ্রিম কোর্ট এই প্রসঙ্গে জানিয়ে দেয়, নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে নাগরিকত্বের জন্য আবেদন জানাননি দেশের বিদায়ী উপপ্রধানমন্ত্রী। লামিছানের দল অবশ্য বলছে, খুব শীঘ্রই নাগরিকত্বের প্রমাণ দিয়ে আবার নেপালি রাজনীতির মূলস্রোতে ফিরে আসবেন তিনি।
সক্রিয় রাজনীতিতে আসার আগে নেপালের জনপ্রিয় টিভি সঞ্চালক হিসাবে খ্যাতি অর্জন করেছিলেন লামিছানে। গত নির্বাচনে তাঁর দল আরএসপি ২০টি আসন পেয়ে সকলকে তাক লাগিয়ে দেয়। নির্বাচিতদের মধ্যে অধিকাংশই নতুন প্রজন্মের প্রতিনিধি হওয়ায় আগামিদিনে নেপালের রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে লামিছানের এই দল।