গাজ়ায় যুদ্ধবিরতির দাবি। ছবি: রয়টার্স।
গাজ়া ভূখণ্ডে হামাস এবং ইজ়রায়েলি সেনার যুদ্ধবিরতির মধ্যেই গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক কাতারের রাজধানী দোহায়। আমেরিকার গুপ্তচর সংস্থা সিআইএর প্রধান উইলিয়াম বার্নস এবং ইজ়রায়েলি গুপ্তচর সংগঠন মোসাদের সঙ্গে কাতারের প্রধানমন্ত্রী শেখ মোহাম্মেদ বিন আব্দুলরহমান বিন জসিম আল থানির বৈঠকে যুদ্ধবিরতির মেয়াদ আরও বাড়ানোর বিষয়ে আলোচনা হয়েছে বলে পশ্চিম এশিয়ার কয়েকটি সংবাদমাধ্যম দাবি করেছে।
গত কয়েক সপ্তাহ ধরে হামাস এবং ইজ়রায়েলের মধ্যে ‘বন্দি বিনিময়ের’ জন্য মধ্যস্থতার চেষ্টা চালিয়েছিল কাতার। তাতে সাফল্যও মেলে। পরে দফায় দু’পক্ষের ‘সাময়িক যুদ্ধবিরতি’ সমঝোতার ক্ষেত্রেও কাতার সরকারের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল। তবে গাজ়ায় যুদ্ধবিরতির মধ্যে আর এক প্যালেস্টাইনি ভূখণ্ড ওয়েস্ট ব্যাঙ্কে ইজ়রায়েলি সেনার তল্লাশি অভিযান এবং ধরপাকড় চলছে বলে অভিযোগ উঠেছে ইতিমধ্যেই।
গত শুক্রবার যুদ্ধবিরতির প্রথম দিন সফল হতেই আমেরিকা, ফ্রান্স-সহ পশ্চিমী বিশ্বের একাধিক দেশ বলতে শুরু করেছিল, মেয়াদ আরও বাড়ানো প্রয়োজন। মিশর-সহ আরব দুনিয়াও একি দাবি তুলেছিল। রাষ্ট্রপুঞ্জের মহাসচিব আন্তোনিয়ো গুতেরেসও এ বিষয়ে জোর দেন। শুরু থেকেই যুদ্ধবিরতির মেয়াদ বাড়ানোর আপত্তি ছিল না হামাসের। তবে ইজ়রায়েল ‘পূর্বশর্ত’ হিসাবে আরও বন্দির মুক্তির দাবি তুলেছিল। শেষ পর্যন্ত মঙ্গলবার দু’দিনের জন্য যুদ্ধবিরতির মেয়াদ বাড়াতে সম্মত হয় ইজ়রায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সরকার।