আধুনিক ভাবনাচিন্তার মাধ্যমে নতুন কিছু ব্যবসা গড়ে তোলা এখনকার দিনে খুবই জনপ্রিয়। নতুন এই ব্যবসা গড়ে তোলা সংস্থাগুলি স্টার্ট-আপ নামে পরিচিত।
মূলত এই স্টার্ট আপগুলি বড় করার লক্ষ্যে কোনও ব্যক্তি বা সংস্থা মূলধন ঢালেন। ভাল কর্মী টানতে এই নতুন গড়ে ওঠা ব্যবসাগুলি কর্মীদের বিবিধ সুযোগ-সুবিধা দেয়। এমনকি প্রতিষ্ঠিত বহু সংস্থার থেকে বেশি বেতন দেওয়া হয় মনোবল বাড়ানোর জন্য।
বর্তমানে নেটমাধ্যমের রমরমায় বেশির ভাগ উঠতি সংস্থাতেই কেনাবেচা নেটমাধ্যমে হয়। আর নেটমাধ্যমে ব্যবসা বাড়াতে যে কোনও উঠতি সংস্থাতেই বাকি কর্মীদের তুলনায় ‘কোডার’-দের উপরই ভরসা করতে হয়। তাদের দিকে বিশেষ যত্নও নিতে হয় সংস্থাগুলিকে।
তবে জানেন কি চিনে এই উঠতি সংস্থাগুলি কোডারদের মনোবল বাড়াতে এবং কাজে মন বসাতে কী পন্থা অবলম্বন করেছে?
চিনের উঠতি প্রযুক্তি সংস্থাগুলি তাদের কোডার, প্রোগ্রামার এবং ইঞ্জিনিয়ারদের কাজের পরিবেশে আনন্দ দিতে একটি অভিনব উপায় নিয়ে এসেছে৷ এই পন্থার নাম ‘প্রোগ্রামার মোটিভেটর’।
সুন্দরী এবং আকর্ষণীয় মহিলাদেরকেই প্রোগ্রামার মোটিভেটর হিসেবে নিয়োগ করছে এই সংস্থাগুলি। এই মহিলাদের কাজ একটাই। নিজেদের মোহময়ী আবেদনের মাধ্যমে কর্মীদের কর্মক্ষেত্রে আসার প্রতি ইচ্ছা বাড়িয়ে তোলা এবং কাজ করার প্রবণতা বাড়িয়ে তোলা।
চিনা সমাজের প্রচলিত ধারণা অনুযায়ী, প্রযুক্তি সংস্থাগুলির কোডার, প্রোগ্রামার এবং ইঞ্জিনিয়াররা হলেন ‘ঝাই’ অর্থাত্ যাদের কোনও সামাজিক জীবন নেই। এবং একমাত্র এক জন আকর্ষণীয় মহিলাই তাঁদের জীবনকে রঙিন এবং প্রাণোচ্ছ্বল বানাতে পারেন বলেও মনে করা হয়।
বেজিংয়ের এক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে পাশ করে এক প্রযুক্তি সংস্থার প্রোগ্রামার মোটিভেটর হিসেবে কাজ করেন ২৫ বছর বয়সি শেন ইয়ু। তাঁর দাবি, সংস্থার কোডার এবং প্রোগ্রামারদের সঙ্গে কথা বলার মতো কেউ নেই। তাই তাঁদের সঙ্গে সময়ে সময়ে মনের কথা বলে কাজের চাপ থেকে মুক্তি দেওয়া হয়।
তবে শুধুমাত্র কথা বলা নয়। মনোবল বাড়াতে, প্রয়োজনে কর্মীদের হাত-পা ম্যাসাজ করতেও হতে পারে শেন্-র মতো প্রোগ্রামার মোটিভেটরদের।
তবে শুধুমাত্র আকর্ষণীয় হলেই হবে না। এক অপরূপ সুন্দরীও যদি ভাবলেশহীন হন, তাহলে তিনি এই কাজের জন্য অচল। মহিলা যত গুণের অধিকারীই হোন না কেনও তাঁর মধ্যে থাকতে হবে সৌন্দর্য এবং লাস্যময়তা।
২০১৫ সালে চিনের অন্যতম বড় ই-কমার্স সংস্থা ‘আলিবাবা’-ও এই কাজের জন্য মহিলা চেয়ে বিজ্ঞাপন দিয়েছিল। তবে এর জন্য চরম সমালেচনারও শিকার হতে হয় এই ই-কমার্স সংস্থাকে।