সিকিমে ভারত-তিব্বত সীমান্ত। ফাইল চিত্র।
সিকিমে ভারত ও চিনের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা (এলএসি) বরাবর দুই দেশের সেনাবাহিনীর উত্তেজনার মধ্যেই ফের ভারতকে কড়া হুঁশিয়ারি দিল চিন। ভারতের দিকে অনুপ্রবেশের আঙুল তো আগেই উঠেছিল, এ বার আরও এক ধাপ সুর চড়িয়ে ভারতকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করল চিনের সরকারি প্রচার মাধ্যম গ্লোবাল টাইমস। দিল্লিকে কার্যত হুঁশিয়ারি দিয়ে ওই মাধ্যমের দাবি, সীমান্ত সমস্যা নিয়ে এ বার ভারতকে ‘শিক্ষা’ দেওয়া দরকার। তাদের নীরবতাকে যেন কোনওভাবেই দুর্বলতা না ভাবা হয়।
গ্লোবাল টাইমস জানিয়েছে, ভারতীয় সেনারা ‘উদ্ধত।’ তারাই নিয়ম লঙ্ঘন করে চিনের সীমান্ত টপকে তিব্বতে ঢুকেছে। বেজিংয়ের কূটনৈতিক স্তরেও বিষয়টি নিয়ে অভিযোগ করা হয়েছে বলে চিনের তরফে জানানো হয়েছে। চিনের দাবি, ওই এলাকা থেকে অবিলম্বে ভারতীয় বাহিনীকে সরিয়ে না নিলে এ বার তাদের উপযুক্ত নিয়ম নীতি শেখানোর রাস্তায় হাঁটবে চিন। নয়াদিল্লিকে কার্যত বিধে তাদের দাবি সামরিক এবং অর্থনৈতিক দিক থেকে চিন অনেক বেশি শক্তিশালী রাষ্ট্র। সেক্ষেত্রে কোনওরকম সমঝোতার পথে হাঁটতে তারা রাজি নয়।
আরও পড়ুন: মোদীর আলিঙ্গনে হতবাক করমর্দন পটু ট্রাম্প
গত কয়েকদিন ধরেই সিকিমের ডোকা লা সীমান্তে দু’দেশের বাহিনীর মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়েছে। চিনা বাহিনী প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা পেরিয়ে ভারতীয় এলাকায় ঢুকে এসেছিল বলে ভারতীয় সেনা সূত্রে খবর। চিনের পিপলস লিবারেশন আর্মি (পিএলএ) সিকিমের লালটেন পোস্ট এলাকায় ঢুকে ভারতীয় বাহিনীর দু’টি বাঙ্কার ভেঙে দিয়ে চলে যায়। তারপরেও প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার আরও ভিতরে ঢোকার তোড়জোড় করেছিল তারা। শেষে মানবশৃঙ্খল গড়ে চিনা সেনাদের আটকানো হয়। তবে সীমান্তে অনুপ্রবেশ নিয়ে ভারতের বক্তব্যকে অস্বীকার করে চিনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। তারা নয়, বরং ভারতীয় সেনাই চিনের এলাকায় ঢুকে পড়েছে এমনই দাবি ছিল চিনের। সীমা লঙ্ঘন এবং বাঙ্কার ভাঙার অভিযোগকে ঘিরে ভারত-চিন উত্তেজনা এতটাই বাড়ে যে মানস সরোবরের উদ্দেশ্যে রওনা দেওয়া এক দল ভারতীয় তীর্থযাত্রীকেও চিন আটকে দেয়।