— ফাইল চিত্র
করোনার গ্রাস থেকে বেরিয়ে আসার জন্য ছটফট করছে গোটা বিশ্ব। টিকা হাতে পাওয়ার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে গোটা দুনিয়া। সেই টিকা আবিষ্কারের চেষ্টায় কয়েক পা এগোতেই এ বার বিপুল আর্থিক সাফল্যের মুখ দেখল চিনা ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থা চংকিং ঝিফেই বায়োলজিক্যাল প্রোডাক্টস কোম্পানি। জুনের শেষ দিকে ওই সংস্থাটি ঘোষণা করে, তারা করোনা টিকার হিউম্যান ট্রায়াল চালানোর অনুমতি পেয়েছে। তার পর থেকে কার্যত সমুদ্রের ঢেউয়ের মতো বাড়তে শুরু করেছে চংকিং ঝিফেই-এর শেয়ারের দাম। মাস দু’য়েকের মধ্যে ওই সংস্থাটির শেয়ারের দাম ৮০ শতাংশ বেড়েছে বলেই জানা গিয়েছে।
চলতি বছরে চিনের শেয়ার বাজারে সবচেয়ে বেশি দাম বেড়েছে চংকিং ঝিফেই-এর। সংস্থাটির চিনেক্সট সূচক বেড়েছে ২৫৬ শতাংশ। ওই সংস্থাটির ৫৬ শতাংশ শেয়ারের মালিক চিয়াং রেনশেং। মনে করা হচ্ছে, সংস্থাটি এমন বিপুল অঙ্কের লাভের মুখ দেখায় যে কোনও সময়েই চিনের প্রথম ১০ জন ধনীর তালিকায় ঢুকে পড়তে পারেন চিয়াং। এই তথ্য দিচ্ছে ব্লুমবার্গ বিলিওনেয়ার্স ইনডেক্স। চিয়াংয়ের সম্পত্তির পরিমাণ কতটা বেড়েছে তার নমুনাও দিয়েছে ব্লুমবার্গ। তাদের মতে, জুলাইতেই চিয়াংয়ের মোট সম্পত্তি দ্বিগুণ হয়েছে। ব্লুমবার্গ আরও বলছে, সারা বিশ্বে ৫০০ জন ধনীর মধ্যে সবচেয়ে কম সময়ে বিপুল অর্থের মুখ দেখেছেন এই চিয়াংই।
চিয়াংয়ের সংস্থা চংকিং ঝিফেই মূলত টিকা তৈরির জন্যই বিখ্যাত। ফ্লু, মেনিনজাইটিসের মতো টিকা বিক্রি করে ওই সংস্থাটি। পাশাপাশি, মূলত মার্কিন ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থা মার্ক অ্যান্ড কোং-এর তৈরি করা সার্ভাইক্যাল ক্যানসারের চিকিৎসা পদ্ধতি বাজারজাত করার সঙ্গেও যুক্ত তারা। এ বার তারা করোনার প্রথম এবং দ্বিতীয় ধাপের হিউম্যান ট্রায়াল শুরু করেছে। আর তার পর থেকেই ওই সংস্থাটির শেয়ারের দাম চড়তে শুরু করেছে। ব্লুমবার্গ সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, চলতি বছরের প্রথম অর্ধেই ১.৫ বিলিয়ন ইউয়ান অর্থাৎ ভারতীয় মুদ্রায় ১ হাজার ৬১৮ কোটি টাকা আয় করেছে ওই চিনা ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থাটি।
আরও পড়ুন: রাষ্ট্রপুঞ্জে কাশ্মীর প্রসঙ্গ তোলার ব্যর্থ চেষ্টা চিনের, কড়া সমালোচনা ভারতের
বিশ্ব জুড়ে করোনা অতিমারি ছড়িয়ে পড়ার পর থেকেই বিভিন্ন ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থার শেয়ারের দাম বাড়তে শুরু করেছে। তার জেরে বিপুল অঙ্কের টাকা ওই সব সংস্থাগুলির মালিকের ঘরে ঢুকছে। শেনঝেন কাংটাই বায়োলজিক্যাল প্রোডাক্টস কোম্পানি, বেজিং ওয়ানটাই বায়োলজিক্যাল ফার্ম্যাসি এন্টারপ্রাইজ কোম্পানি, মার্কিন সংস্থা মডার্নার মতো একাধিক সংস্থার মালিকদের হাতে এখন ঠিক এই ভাবেই বিপুল অর্থ চলে এসেছে।
আরও পড়ুন: করোনা মোকাবিলায় মেডিক্যাল কলেজে প্লাজমা ব্যাঙ্ক, কতটা কাজ করবে এটি?