অনলাইনে কী ভাবে সরকারের রক্তচক্ষু এড়াচ্ছেন চিনের সাধারণ নাগরিকরা? ছবি: সংগৃহীত।
চিন সরকারের কড়া কোভিডবিধির বিরুদ্ধে ব্যঙ্গবিদ্রূপ, সমালোচনা, কটূক্তির বন্যা বইছে সে দেশের নেটমাধ্যমে। যদিও এ সবই চলছে সরকারি সেন্সরশিপ এড়িয়ে। কিন্তু, অনলাইনে কড়া নজরদারি সত্ত্বেও কী ভাবে সরকারের রক্তচক্ষু এড়াচ্ছেন চিনের সাধারণ নাগরিকরা? কী ভাবেই বা সেন্সরশিপকে বোকা বানাচ্ছেন তাঁরা?
শি জিনপিংয়ের দেশে গত কয়েক সপ্তাহ ধরে করোনার সংক্রমণ ঊর্ধ্বমুখী। আমেরিকার জন্স হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৮ দিনে ৪ লক্ষ ৩৮ হাজার ৯৮০ জন কেভিডে আক্রান্ত হয়েছেন। এ ছাড়া, ওই সময়ের মধ্যে ৪৮১ জন রোগীর মৃত্যু হয়েছে। সংক্রমণে রাশ টানতে দেশ জুড়ে কড়া কোভিডবিধি চালু করেছে চিন। তবে তাতে হাঁসফাঁস অবস্থা সে দেশের নাগরিকদের। কোভিড নিয়ে সরকারি নীতির সমালোচনায় নেটমাধ্যমে ঢালাও গালিগালাজ, ব্যঙ্গোক্তি শুরু হয়েছে। যদিও সে সব পোস্টই সেন্সরের ফাঁক গলে বেরিয়ে যাচ্ছে। কী ভাবে এই আপাত-অসম্ভবকে সম্ভব করছেন চিনা নাগরিকেরা?
সংবাদমাধ্যমের দাবি, চিনের নেটমাধ্যম উয়েইবো-তে কোভিডনীতির সমালোচনায় মান্দারিনের বদলে ক্যান্টনিজ় ভাষায় গালিগালাজ করছেন চিনারা।
শি জিনপিংয়ের দেশে আবার করোনার সংক্রমণ ঊর্ধ্বমুখী। ছবি: রয়টার্স।
নেটমাধ্যমে ক্যান্টনিজ় ভাষায় যে বানানবিধি রয়েছে এবং তা যে ভাবে লেখা হয়, সেটি পড়তে নাকি বেশ বেগ পেতে হয় চিনের ‘কনটেন্ট সেন্সরশিপ সিস্টেম’-এর। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই সরকারের সমালোচনামূলক তথাকথিত সাহসী পোস্টগুলি ওই ভাষায় লেখা হচ্ছে। ‘চায়না ডিজ়িটাল টাইমস’ নামে আমেরিকার এক মিডিয়া সংগঠনের দাবি, হয়তো এ কারণে ওই পোস্টগুলি সেন্সরের ফাঁকফোকর গলে অনায়াসে বেরিয়ে যাচ্ছে।
ক্যান্টনিজ় ভাষায় লেখা ওই পোস্টগুলি গুয়াংঝৌয়ের পার্শ্ববর্তী প্রদেশ গুয়াংডং-এর বাসিন্দারাই লিখছেন বলে দাবি। প্রসঙ্গত, চিনের লাখো নাগরিক ক্যান্টনিজ় ভাষায় কথাবার্তা চালান। ২০১৯ সালেও চিন সরকার-বিরোধী বিক্ষোভে এই পন্থা নিয়েছিলেন হংকংয়ের প্রতিবাদীরা। চিনের রক্তচক্ষু এড়াতে পোস্টার, স্লোগানে ক্যান্টনিজ় ভাষার আড়াল নিয়েছিলেন বিক্ষোভকারীরা।