হংকংয়ের পলিটেকনিক বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে সেনার সংঘর্ষ। ছবি: রয়টার্স
সবুজ টি-শার্ট, কালো শর্টস পরা মানুষগুলোর চুল ছোট করে ছাঁটা। অনেকেরই হাতে লাল বালতি। হংকংয়ের অবরুদ্ধ রাস্তা সাফ করতে নেমেছেন তাঁরা। বিতর্কিত প্রত্যর্পণ বিল প্রত্যাহারের পরেও প্রশাসনিক প্রধান ক্যারি লামের ইস্তফা-সহ একগুচ্ছ দাবিতে এটা-সেটা ফেলে রাস্তা আটকানো চলছেই বিক্ষোভকারীদের। রাজপথে তাঁদের ফেলা ইট-কাঠই আজ সরাল হাফপ্যান্ট পরা বাহিনী। আসলে যারা সাদা পোশাকে থাকা চিনা সেনা। হংকংয়ে অশান্তি শুরুর পাঁচ মাস পেরিয়ে যাওয়ার পরে আজই প্রথম সেখানে সেনা নামাল চিন।
আজ বিকেলে কাওলুনের সেনা ঘাঁটি থেকে আসা সেনাদের ওই দলটিকে ব্যাপটিস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে রেনফ্রু রোড পরিষ্কার করতে দেখা যায়। এই কর্মসূচির সঙ্গে হংকং প্রশাসনের সম্পর্ক নেই বলে জানিয়ে এক সেনা বলেন, ‘‘হিংসা, অব্যবস্থা বন্ধ করাটা আমাদের দায়িত্ব।’’ ঠিক এই কথাটাই গত বৃহস্পতিবার বলেন চিনা প্রেসিডেন্ট শি চিনফিং। হংকংয়ের সংবিধান অনুযায়ী, উদ্ধারকাজে ডাকা না-হলে কোনও স্থানীয় বিষয়ে চিনা সেনা নাক গলাবে না। হংকংয়ের নিরাপত্তা সচিব জন লি কা-চিউ যদিও সম্প্রতি বলেছিলেন যে, সেনা নিজে থেকেই স্বেচ্ছাশ্রমের এই সিদ্ধান্ত নিতে পারে। সেনার সঙ্গে আজ হাত লাগায় সরকারের সমর্থক স্বেচ্ছাসেবক বাহিনী ও দমকল। চিনা জাতীয় পতাকা নিয়ে পুলিশ ও সরকারের সমর্থনে মিছিল করে প্রায় ৫০০ জনের একটি দল।
রাত নামার আগেই হংকং ফিরল হংকংয়ে। পুলিশের কাঁদানে গ্যাস, বিক্ষোভকারীদের পেট্রল বোমা। রাস্তা জুড়ে ছড়িয়ে রইল অশান্তির চিহ্ন।