চিনের কাছে মার্কিন যুদ্ধজাহাজ ইউএসএস লাসেন। ছবি: রয়টার্স।
যুদ্ধ শুরু হয়ে যেতে পারে যে কোনও সময়। ভিডিও কনফারেন্সে মার্কিন নৌবাহিনীকে এ বার এমনই হুঁশিয়ারি দিল চিন।
মার্কিন যুদ্ধজাহাজ ইউএসএস লাসেন দক্ষিণ চিন সাগরে ঢুকে পড়েছে। যে রণতরী আমেরিকা পাঠিয়েছে, তা কোনও সাধারণ নজরদারি জাহাজ নয়। সেটি বিধ্বংসী ক্ষমতাসম্পন্ন গাইডেড মিসাইল ডেস্ট্রয়ার। তাই আমেরিকার তরফে এটিকে রুটিন নজরদারি বলে দাবি করা হলেও, চিন মানতে নারাজ।
দক্ষিণ চিন সাগরে একটি দ্বীপপুঞ্জের অধিকার নিয়ে চিন আর ফিলিপিন্সের মধ্যে দ্বন্দ্ব দীর্ঘ দিনের। বিষয়টির আন্তর্জাতিক স্তরে মিমাংসা চেয়েছে ফিলিপিন্স। কিন্তু, চিনের দাবি বিতর্কিত দ্বীপপুঞ্জের অধিকার তাদের সার্বভৌমত্বের সঙ্গে জড়িত। এই বিষয়ে অন্য কোনও পক্ষের হস্তক্ষেপ তারা মানবে না। আন্তর্জাতিক আদালত অবশ্য চিনের এই সার্বভৌমত্বের দাবি নস্যাৎ করেছে। তার পরই ফিলিপিন্সের পাশে দাঁড়িয়েছে আমেরিকা। যে অংশকে চিন নিজেদের জলসীমা বলে দাবি করে, মার্কিন যুদ্ধজাহাজ হানা দিয়েছে সেখানেই।
উত্তেজনা ক্রমশ বাড়তে থাকায় আমেরিকা ও চিনের নৌবাহিনীর প্রধানরা ভিডিও কনফারেন্সে আলোচনা করেন। সেখানেই চিনের তরফে আমেরিকাকে জানানো হয়েছে, এই সব ছোটখাট ঘটনা থেকেই যে কোনও সময় যুদ্ধ শুরু হতে পারে। চিনের জলসীমা ছেড়ে অবিলম্বে চলে যাওয়া উচিত ইউএসএস লাসেনের। তবে রণতরী ফিরিয়ে নেওয়ার পথে এখনই হাঁটতে নারাজ আমেরিকা।
যুদ্ধ চাইলে তৈরি, চিনের চ্যালেঞ্জ আমেরিকাকে