COVID-19

নিভৃতবাস আর কোভিড পরীক্ষার বিধিই তুলে দিল করোনাধ্বস্ত চিন, বাধা নেই বিদেশি পর্যটকের প্রবেশেও

কিছুদিন আগেও লকডাউন ছিল চিনে। তখনও করোনার নতুন ঢেউ ওঠেনি। সরকারের সিদ্ধান্তের বিরোধিতায় পথে নেমেছিলেন মানুষ। কিন্তু সরকার অবস্থান বদলায়নি। সেই চিন-ই এখন উল্টো নীতি নিয়েছে।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৭ ডিসেম্বর ২০২২ ১৭:৩৫
Share:

চিনের স্বাস্থ্য কমিশন জানিয়েছে, শীঘ্রই চিনের বাসিন্দারাও বিদেশে যেতে পারবেন। প্রতীকী ছবি।

চিনের শ্মশানে তিল ধারণের জায়গা নেই। প্রিয়জনকে দাহ করার জন্য অপেক্ষা করতে হচ্ছে অন্তত ২৪ ঘণ্টা। করোনার সাম্প্রতিক ধাক্কায় ধরাশায়ী দেশটি কিছুদিন আগে বন্ধ করে দিয়েছে সংক্রমণের হিসাব দেওয়াও। এরই মধ্যে চিন সরকার সিদ্ধান্ত নিল নিভৃতবাসের মতো কড়াকড়ি বন্ধ করার! চিন সরকার জানিয়েছে, নতুন নিয়ম নতুন বছরের ৮ জানুয়ারি থেকেই চালু হবে।

Advertisement

করোনা সংক্রান্ত কড়াকড়ি যেমন লক ডাউন, নিভৃতবাসের ঘোষণা প্রথম হয়েছিল চিনেই। ২০১৯ সালে চিনের উহান প্রদেশে করোনার ভাইরাস ধরা পড়ার পরই চিন লকডাউন ঘোষণা করে। করোনা মোকাবিলায় এই কিছুদিন আগেও একই নিয়ম কার্যকর ছিল চিনে। শি জিনপিং সরকারের ‘জিরো-কোভিড নীতি’র জন্য কিছুদিন আগেও কড়া লক ডাউন জারি হয়েছিল চিনে। তখনও করোনার নতুন সংক্রমণ শুরু হয়নি। সরকারের লকডাউনের সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে পথে নেমেছিলেন চিনের মানুষ। সেই চিন সোমবার জানিয়েছে, তারা আর নিভৃতবাসের নীতি মানবে না। চিনের বিভিন্ন মহলে খবর, উদার হতে চলেছে লক ডাউনের নিয়মও। এমনকি, বিদেশ থেকে আসা পর্যটকদের যে কোভিড পরীক্ষা এবং ৭ দিন নিভৃতে থাকার নিয়ম মানতে হত, তারও আর প্রয়োজন নেই। বদলে বিশ্বের অন্যান্য দেশ থেকে পর্যটকদের কাছে অবারিত করা হবে চিনে প্রবেশের দরজা। দেশের জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশন জানিয়েছে, বিদেশি পর্যটকদের মধ্যে যাঁদের জ্বর বা ফ্লু-এর মতো উপসর্গ থাকবে, তাঁদেরই শুধু কোভিড পরীক্ষা করা হবে। বাকিদের নয়। কমিশন জানিয়েছে, শীঘ্রই চিনের বাসিন্দারাও চিন থেকে দেশের বাইরে যেতে পারবেন। তবে তাঁদের ক্ষেত্রে কোভিড পরীক্ষার নিয়ম মানা হবে বলে জানিয়েছে চিন।

হঠাৎ পুরনো নীতি আমূল বদলে এমন উল্টো পথ কেন নিল চিন সরকার, তার স্পষ্ট ব্যাখ্যা পাওয়া যায়নি। তবে অন্য একটি সূত্রে খবর, চিনে বিভিন্ন স্বাস্থ্যকেন্দ্রে কোভিড চিকিৎসার ওষুধ ফাইজারের ‘প্যাক্সলোভিড’এর সরবরাহ বাড়িয়ে দিয়েছে চিন সরকার। বিদেশে তৈরি করোনা মোকাবিলার এই একটি মাত্র ওষুধকেই অনুমোদন দিয়েছে চিন। জিন পিং প্রশাসন সেই প্যাক্সলোভিডের বন্টন বাড়ানোয় অনেকেই মনে করছে, তবে কি প্রতিরোধে ফল না মেলায় এ বার প্রতিকারে জোর দিচ্ছে চিন?

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement