ইমরান খান ও শি চিনফিং।
শেষ মুহূর্তে কোনও পরিবর্তন না হলে এ যাত্রায় ফের চিনের আনুকূল্যেই খাঁড়ার ঘা থেকে কিছু দিনের জন্য রেহাই পেল ইসলামাবাদ। সুতরাং মমল্লপুরম-মৈত্রীর পরেও রাতারাতি পাকিস্তান নিয়ে যে অবস্থান বদলায়নি বেজিং, তা আজ প্রমাণ হল বলেই মনে করা হচ্ছে।
প্যারিসে চলতি ফিনান্সিয়াল অ্যাকশন টাস্ক ফোর্স (এফএটিএফ)-এর শীর্ষ বৈঠকের বাকি আরও দেড় দিন। কিন্তু সূত্রের খবর, এখনই স্পষ্ট যে, এ বার কালো তালিকাভুক্ত হচ্ছে না পাকিস্তান। জঙ্গিদের পুঁজি জোগানের প্রশ্নে আন্তর্জাতিক নজরদারি সংস্থাটির পক্ষ থেকে পাকিস্তানকে বলা হয়েছে, আগামি বছরের ফেব্রুয়ারির মধ্যে জঙ্গিদের টাকা জোগান বন্ধ করার ব্যাপারে বাড়তি ব্যবস্থা নিতে।
এফএটিএফ-এর প্রেসিডেন্ট পদে ছ’মাসের জন্য রয়েছে চিন। সূত্রের মতে, কালো তালিকায় না পাঠালেও শেষ সতর্কীকরণ হিসেবে পাকিস্তানকে ‘গাঢ় ধূসর’ তালিকাভুক্ত করার জন্যই সওয়াল করেছিল বেশির ভাগ সদস্য রাষ্ট্র। কারণ এ বিষয়ে যে ৪০টি পদক্ষেপ করতে বলা হয়েছিল পাকিস্তানকে, তার প্রায় কিছুই করেনি তারা। কিন্তু শি চিনফিং সরকার এখনও ব্যাট করছে ইসলামাবাদের হয়ে। আরও একটি সুযোগ দিয়ে পাকিস্তানকে সতর্ক করার এই সিদ্ধান্তে চিনের পাশে রয়েছে তুরস্ক এবং মালয়েশিয়া। মোট ৩৬টি দেশের প্রতিনিধিসম্বলিত এফএটিএফ-এ কোনও রাষ্ট্রের কালো তালিকাভুক্তি আটকাতে অন্তত ৩টি রাষ্ট্রের আপত্তি প্রয়োজন। চিনের পাশে দাঁড়িয়ে তুরস্ক, মালয়েশিয়া পাকিস্তানের এ যাবৎ করা সন্ত্রাসবিরোধী পদক্ষেপের প্রশংসা করেছে বলেই জানাচ্ছে ইসলামাবাদ।