প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং চিনা প্রেসিডেন্ট শি চিনফিং। -ফাইল ছবি।
উদীয়মান ভারতকে ‘শত্রু’ মনে করে চিন। চায় আমেরিকা ও তার মিত্র দেশগুলির সঙ্গে ভারতের প্রতিরক্ষা সম্পর্ক ছিন্ন করতে। আমেরিকার বিদেশমন্ত্রকের সম্প্রতি প্রকাশিত একটি নীতিপত্রে (‘পলিসি ডকুমেন্ট’) এই অভিযোগ করা হয়েছে। এও বলা হয়েছে, ‘‘আমেরিকাকে বিশ্বের শীর্ষ স্থানটি থেকে সরাতেও বদ্ধপরিকর চিন।’’
আমেরিকার সংবিধান অনুযায়ী, আগামী ২০ জানুয়ারি পরবর্তী প্রশাসনের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তরের আগে বিদেশমন্ত্রকের এই নীতিপত্রে চিনের উত্তরোত্তর বেড়ে ওঠা আগ্রাসী মনোভাবেরও উল্লেখ করা হয়েছে। বলা হয়েছে, ‘‘চিন সংলগ্ন এলাকার দেশগুলির নিরাপত্তা, সার্বভৌমত্ব ও অর্থনৈতিক স্বার্থ ক্ষুণ্ণ করার চেষ্টায় ব্রতী হয়েছে।’’
ভারত ও আমেরিকার সম্পর্কে এখন বেজিংয়ের মনোভাব কী, তা বোঝাতে আমেরিকার বিদেশমন্ত্রকের ওই নীতিপত্রে বলা হয়েছে, ‘‘উদীয়মান ভারতকে শত্রু মনে করে চিন। ভারত যাতে চিনের অর্থনৈতিক উচ্চাশা পূর্ণ করে, তার জন্য চাপ দিচ্ছে। চাইছে ভারতের সঙ্গে আমেরিকা, জাপান, অস্ট্রেলিয়ার প্রতিরক্ষা সম্পর্ক ছিন্ন করতে। বেজিং এও চায় অন্য গণতান্ত্রিক দেশগুলির সঙ্গেও ভারতের সম্পর্ক তলানিতে পৌঁছক।’’
পূর্ব লাদাখে উত্তেজনা সৃষ্টি ও তা দীর্ঘ দিন জিইয়ে রাখার ব্যাপারে চিনা সেনাবাহিনী পিপলস লিবারেশন আর্মি (পিএলএ)-র ভূমিকারও কড়া সমালোচনা করা হয়েছে রিপোর্টে।
আরও পড়ুন: ট্রাম্পের হার কর্তৃত্ববাদীদের কাছে কিছুটা অশনি সঙ্কেত
আরও পড়ুন: বাইডেন ক্যাবিনেটে আসছেন ১ বঙ্গসন্তান-সহ ২ ভারতীয় বংশোদ্ভূত
৭০ পৃষ্ঠার রিপোর্টে এও অভিযোগ করা হয়েছে বেজিং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলির জোটে (‘আসিয়ান’) ভাঙন ধরাতে চাইছে। চাইছে তাদের নিরাপত্তা, সার্বভৌমত্ব ও অর্থনৈতিক স্বার্থকে ক্ষুণ্ণ করতে। সেই দেশগুলি রয়েছে মূলত মেকং অঞ্চল এবং প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপগুলিতে।
আমেরিকার প্রভাব কমাতে চিন তার সংলগ্ন দেশগুলিতে উঠেপড়ে লেগেছে বলেও রিপোর্টে অভিযোগ করা হয়েছে। বলা হয়েছে, ‘‘বেজিং সে জন্য ওই দেশগুলিকে বোঝাচ্ছে ওই এলাকায় চিন ছাড়া কোনও গতি নেই। তাদের উপরেই নির্ভর করতে হবে। করে চলতে হবে।’’
চিনের মূল লক্ষ্য কোন কোন দেশ? রিপোর্ট জানাচ্ছে, দেশগুলির মধ্যে আমেরিকা আর ভারত তো আছেই, রয়েছে জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, অস্ট্রেলিয়া, তাইল্যান্ড ও ফিলিপিন্সও। রয়েছে ভিয়েতনাম, তাইওয়ান এবং ইন্দোনেশিয়াও।