প্রসঙ্গত, এর আগেও চিনের সরকারের বিরুদ্ধে টুইটারকে অনৈতিক ভাবে ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছিল। গ্রাফিক: সনৎ সিংহ।
দেশে কোভিড-লকডাউন বিরুদ্ধে শুরু হওয়া ব্যাপক জনরোষের খবর চাপতে শুরু করেছে চিনের শি জিনপিং সরকার। আর তার জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে আন্তর্জাল রোবট (ওয়েব বট)-দের! এমনই অভিযোগ উঠেছে সে দেশের কমিউনিস্ট সরকারের বিরুদ্ধে। বিক্ষোভের খবর ছড়িয়ে পড়া রুখতে নাকি টুইটারে পর্ন এবং যৌন উত্তেজক পোস্ট দিয়ে চলছে এই আন্তর্জাল রোবটগুলি। কিন্তু কী ভাবে পর্ন দিয়ে রোখার চেষ্টা চলছে জনরোষের খবর?
বিভিন্ন প্রতিবেদন অনুযায়ী, এই আন্তর্জাল রোবটগুলি এত বেশি পরিমাণে পর্ন ভিডিয়ো টুইটারে আপলোড করছে যাতে চিনের টুইটার ব্যবহারকারীরা এই সব ভিডিয়োতে মজে থাকে। পাশাপাশি ব্যবহারকারীদের টুইটার ‘ফিড’ পর্ন ভিডিয়োতে ভর্তি থাকায় তাঁরা অন্যান্য খবর বেশি দেখতে পাবেন না। যৌনকর্মীদের বিজ্ঞাপন দিয়ে চিনের টুইটার ব্যবহারকারীদের প্রলুব্ধ করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ। প্রতিবেদন অনুযায়ী, এই বিজ্ঞাপনগুলি টুইটারে ব্যবহারকারীদের আকৃষ্ট করছে এবং বিজ্ঞাপনগুলিতে থাকা লিঙ্কে যেতে বাধ্য করছে।
অভিযোগ উঠেছে, সরকার এই কাজে সরাসরি মদত জোগাচ্ছে। সংবাদমাধ্যম ‘ওয়াশিংটন পোস্ট’-এর মতে, চিনের ‘কোভিড শূন্য-নীতি’র বিরুদ্ধে করা প্রতিবাদ সম্পর্কে সে দেশের মানুষ যাতে না পান, সেই কারণেই এই পর্ন ভিডিয়োগুলি আপলোড করা চলছে।
প্রসঙ্গত, এর আগেও চিনের সরকারি আধিকারিকদের বিরুদ্ধে টুইটারকে অনৈতিক ভাবে ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছিল।
চিনে আবার হু-হু করে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। বাড়ছে হাসপাতালে ভর্তির সংখ্যাও। সে জন্যই করোনার সংক্রমণ রুখতে আরও সতর্ক হয়ে দেশ জুড়ে ‘কোভিড-শূন্য নীতি’র পথে হাঁটতে শুরু করেছে জিনপিং সরকার। দেশ জুড়ে কড়া কোভিড বিধির জন্য ঘরবন্দি সে দেশের বহু মানুষ। সঙ্গে রয়েছে দীর্ঘ নিভৃতবাস এবং কোভিড পরীক্ষার করানোর নির্দেশ। মূলত এর থেকেই সে দেশে আন্দোলনের সূত্রপাত। কিন্তু সেই আন্দোলন দিনে দিনে চরিত্র বদলাতে শুরু করেছে। করোনার বিধিনিষেধ থেকে মুক্তির আন্দোলনে স্লোগান উঠছে স্বাধীনতা এবং মৌলিক অধিকারের।