প্রবল টাইফুন। সঙ্গে নাগাড়ে বৃষ্টি। বিপর্যস্ত চিনের বিস্তীর্ণ এলাকার জনজীবন। মৃতের সংখ্যা ৬। আজই চার জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। নিখোঁজ আরও চার। আহত অন্তত ৭০। ফুজিয়ানের উপকূলবর্তী এলাকা থেকে প্রায় ২ লক্ষ মানুষকে নিরাপদ জায়গায় সরানো হয়েছে। মূলত ফুজিয়ানে চূড়ান্ত সতর্কতা জারি করেছে বেজিং। তাইওয়ানকে লন্ডভন্ড করে টাইফুন চিনের মূল ভূখণ্ডের দিকে এগোচ্ছে বলে চিন্তায় প্রশাসন। বন্যা এবং ধসেরও আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।
ঝড়ে উপড়ে গিয়েছে বহু গাছ এবং বিদ্যুতের খুঁটি। তিন দিন একই রকম পরিস্থিতি তাইওয়ান-সহ দেশের বহু এলাকায়। বিদ্যুৎ সংযোগ নেই তাইওয়ানের প্রায় ৩০ লক্ষ বাড়িতে। প্রশাসনের দাবি, দেশে এত বড় বিদ্যুৎ সঙ্কট এর আগে কখনও হয়নি। হাওয়া অফিস জানিয়েছে, আজ দিনের শুরুতে ঝড়ের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ১৬২ কিলোমিটার। পরে তা ১৪৪ কিলোমিটারে নেমে আসে। যদিও কয়েক দিন আবহাওয়া একই রকম থাকবে বলে জানিয়েছে প্রশাসন।
স্থানীয় সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার তাইওয়ানের পূর্ব উপকূলে আচমকা বন্যায় বছর আটেকের শিশুকন্যা-সহ ভেসে যান এক মহিলা। দু’দিন কাটলেও খোঁজ মেলেনি মহিলার আর এক কন্যার। শিক্ষামূলক অভিযানে গিয়ে কালই তাইওয়ানের উপকূলে ছোট একটি বাড়িতে আটকা পড়েন স্থানীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রী এবং শিক্ষক মিলিয়ে ৫৫ জন। উপকূল রক্ষী বাহিনী গিয়ে তাঁদের উদ্ধার করেন।
হাওয়া অফিস জানিয়েছে, দক্ষিণ চিন সমুদ্রের গরম বাতাস থেকে এমন টাইফুন হওয়াটা অস্বাভাবিক নয়। এই জাতীয় ঝড় সাধারণত মূল ভূখণ্ডে তেমন ভয়াবহ আকার নেয় না। এ বার টাইফুনের ব্যতিক্রমী প্রকৃতিই ভাবাচ্ছে বেজিংকে।