চিনের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র ঝাও লিজিয়াং। ফাইল চিত্র।
আগামী বছর জি-২০-র অন্তর্গত রাষ্ট্রগুলির শীর্ষ সম্মেলন ভারতে। আয়োজক নরেন্দ্র মোদী সরকারের সিদ্ধান্ত, বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ এই আন্তর্জাতিক গোষ্ঠীর শীর্ষ বৈঠক হবে কাশ্মীরে। আগে বাদ সেধেছিল পাকিস্তান। এ বার তাদের সঙ্গে যোগ দিল চিনও। কূটনৈতিক সূত্রের মতে, চিনের সরকার ভারতের উপর বিষয়টি নিয়ে চাপ তৈরি করলেও এখনও পর্যন্ত সাউথ ব্লক কাশ্মীরেই অনড়।
চিনের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র ঝাও লিজিয়াং বিষয়টি নিয়ে সম্প্রতি সাংবাদিক সম্মেলনই ডেকে ফেলেছিলেন। জি-২০ এবং কাশ্মীর নিয়ে প্রশ্নের উত্তরে তাঁর বক্তব্য, “কাশ্মীর নিয়ে চিনের দৃষ্টিভঙ্গি ধারাবাহিক ভাবে একই রয়েছে এবং তা স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে বারবার। এটা ভারত ও পাকিস্তানের পুরনো সমস্যা। রাষ্ট্রপুঞ্জের প্রস্তাব এবং দ্বিপাক্ষিক চুক্তিগুলির সাপেক্ষে এর সমাধান হওয়া প্রয়োজন।” ঝাওয়ের কথায়, “সংশ্লিষ্ট দুই পক্ষেরই উচিত একতরফা কোনও সিদ্ধান্ত নিয়ে বিষয়টিকে জটিল না করে তোলা। আমাদের উচিত আলোচনা এবং সংলাপের মাধ্যমে মতপার্থক্যের নিরসন করা। একত্রে শান্তি এবং সুস্থিতি বহাল রাখা।”
প্রশ্ন করা হয়, কাশ্মীরের জি-২০ সম্মেলনে কি তা হলে চিন অংশ নেবে না? এর স্পষ্ট কোনও উত্তর এড়িয়ে গিয়েছেন চিনা মুখপাত্র। ঝাও বলেছেন, “আমরা বৈঠকে অংশ নেব কি নেব না, সে বিষয়ে ভেবে দেখা হবে।” অর্থাৎ সব রকম সম্ভাবনা জিইয়ে রেখেই ভারতের উপরে চাপ তৈরির চেষ্টা বজায় রাখল বেজিং। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে ঝাও বলেছেন, “সংশ্লিষ্ট সমস্ত রাষ্ট্রের কাছে আমরা আহ্বান জানাচ্ছি, অর্থনীতির পুনরুদ্ধারে মন দিতে। বিষয়গুলি নিয়ে রাজনীতি না করতে। তাহলে আন্তর্জাতিক অর্থনীতিকে চাঙ্গা করা যাবে।”
মার্চে ৩৬টি দেশের প্রতিনিধি যোগ দিয়েছিলেন কাশ্মীরে হওয়া আন্তর্জাতিক বিনিয়োগ সম্মেলনে। এ বার সেখানেই জি-২০ আয়োজন করার সিদ্ধান্ত নিয়ে পাকিস্তানের উপরে চাপ বাড়াতে চাইছে ভারত। পাশাপাশি আন্তর্জাতিক মঞ্চে কাশ্মীরের উন্নয়নের বার্তাও দিতে চাইছে কেন্দ্র। কূটনৈতিক মহলে গুঞ্জন, চিনের পাশাপাশি সৌদি আরব, তুরস্ককেও সম্মেলন রুখতে পাশে পেতে চাইছে ইসলামাবাদ।