Coronavirus

দেশজ ভ্যাকসিন ব্যবহারে ছাড়পত্র চিন সরকারের

দেশের অভ্যন্তরীণ আইন অনুযায়ী, বড়সড় বিপদের আশঙ্কা এড়াতে পরীক্ষাধীন প্রতিষেধক ব্যবহার করা যায়।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

ওয়াশিংটন শেষ আপডেট: ২৫ অগস্ট ২০২০ ০৪:২৯
Share:

প্রতীকী ছবি।

দেশের কিছু ওষুধপ্রস্তুতকারী সংস্থার তৈরি সম্ভাব্য কোভিড-১৯ প্রতিষেধক ব্যবহারে সরকারি ছাড়পত্র দিল চিন। তবে শুধু জরুরি পরিস্থিতিতেই তা ব্যবহার করা হবে বলে জানানো হয়েছে।

Advertisement

গত ২২ জুলাই প্রথম জরুরি পরিস্থিতিতে করোনার পরীক্ষাধীন ভ্যাকসিনের ব্যবহার শুরু করে চিন। আজ এক চিনা স্বাস্থ্য কর্তা সরকারি ছাড়পত্রের কথা ঘোষণা করলেন। চিনের দাবি, আইন মেনেই চলছে তারা। তাদের দেশের অভ্যন্তরীণ আইন অনুযায়ী, বড়সড় বিপদের আশঙ্কা এড়াতে পরীক্ষাধীন প্রতিষেধক ব্যবহার করা যায়। চিনের করোনা ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারী টাস্ক ফোর্সের প্রধান ঝেং ঝংওয়েই বলেন, ‘‘বেশ কিছু পরিকল্পনা রয়েছে আমাদের। সত্যিই জরুরি পরিস্থিতিতে ওই ভ্যাকসিন ব্যবহার করা হচ্ছে কি না, তা ভাল ভাবে খতিয়ে দেখা হবে। যাঁকে ভ্যাকসিন দেওয়া হবে, তাঁর অনুমতি নেওয়া হবে। কিছু খারাপ হলে, কী ভাবে বাঁচানো যায়, সেই ব্যাকআপও রাখা হবে। ক্ষতিপূরণ দেওয়ার পরিকল্পনাও আছে।’’

গোটা বিশ্বে সংক্রমিতের সংখ্যা ২ কোটি ৩৬ লাখ ছাড়িয়েছে। ৮ লাখের উপরে মৃত্যু। কেউ বলতে পারছে না, কবে পৃথিবী থেকে বিদায় নেবে করোনাভাইরাস, কবে থামবে মৃত্যুমিছিল। এরই মধ্যে হংকংয়ের এক প্রযুক্তিবিদকে পরীক্ষা করে পুনর্বার নয়া সংক্রমণের প্রথম পাথুরে প্রমাণ মিলেছে বলে খবর। একবার রোগমুক্ত হলেও যে করোনা সংক্রমণ যে ফিরে আসছে অনেকের, সে রকম নজির অনেক দেশেই মিলছিল। কিন্তু সেটা পুরনো সংক্রমণের রেশ, আগের সংক্রমণের পুনরাবৃত্তি না কি সম্পূর্ণ নতুন সংক্রমণ, তা নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছিল না। হংকংয়ের এই ব্যক্তিকে পরীক্ষা করে নিশ্চিত হওয়া গিয়েছে যে, দ্বিতীয় বার তিনি ভাইরাসের অন্য স্ট্রেন থেকে সংক্রমিত হয়েছেন।

Advertisement

আমেরিকায় এ পর্যন্ত ১ লক্ষ ৮০ হাজার মার্কিন নাগরিক প্রাণ হারিয়েছেন করোনায়। সংক্রমণের সংখ্যা ৫৮ লাখ ছাড়িয়েছে। রাশিয়া ও চিনের তৈরি ভ্যাকসিন তারা ব্যবহার করবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে। এই অবস্থায় গত কাল জরুরি ভিত্তিতে প্লাজ়মা থেরাপিকে সরকারি ছাড়পত্র দিল মার্কিন প্রশাসন। সুস্থ হওয়া করোনা রোগীর প্লাজ়মায় অ্যান্টিবডি থাকে। ওই প্লাজ়মা অসুস্থকে দিয়ে ভাল ফল মেলার উদাহরণ অনেক। মার্কিন ‘ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন’ (এফডিএ) গত কাল তাদের বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘‘এটি হয়তো কোভিড-১৯ থেকে সারিয়ে তুলতে পারে... এর বিষয়ে জানা সম্ভাব্য বিপদের থেকে সম্ভাব্য গুণাগুণ অনেক বেশি।’’ এই কারণেই ছাড়পত্র।

তবে এত দিন প্লাজ়মা থেরাপি ব্যাপক ভাবে ব্যবহার না-করারও কারণ আছে। আমেরিকা-সহ বিভিন্ন দেশে এই চিকিৎসা-পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়েছে। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা বারবার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নিয়ে সতর্ক করেছেন। নিউ ইয়র্কের পালমোনারি স্পেশ্যালিস্ট লেন হোরোভিৎজ়ের কথায়, ‘‘কনভালেসেন্ট প্লাজ়মা হয়তো কাজ করে— কিন্তু তবু এর ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল হওয়া উচিত।’’ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)-ও এর গুণাগুণ সম্পর্কে সন্তুষ্ট নয়।

সীমান্তকে ‘বেঁধে’ দেশকে করোনামুক্ত করার চেষ্টা চালিয়েছিল নিউজিল্যান্ড। দেশে ঢোকা বা বেরোন বন্ধ রাখা হয়েছিল টানা কয়েক মাস। সেই পরিকল্পনাও ব্যর্থ হয়েছে। আজ নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আর্ডের্ন বলেন, ‘‘ভয়ানক একটা বছর। মনে হচ্ছে অন্য গ্রহে বাস করছি।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement