China-Taiwan Conflict

তাইওয়ানের কাছে ‘নির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তু’তে আঘাত করা শুরু করল চিন, নিছকই মহড়া, বলছে বেজিং

বেজিংয়ের আপত্তি উড়িয়ে বুধবারই ক্যালিফোর্নিয়ায় আমেরিকার নিম্নকক্ষ হাউস অফ রিপ্রেজ়েন্টেটিভসের স্পিকার কেভিন ম্যাকার্থির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছিলেন তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট সাই ইং-ওয়েন।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১০ এপ্রিল ২০২৩ ১২:০৮
Share:

তাইওয়ানের বিরুদ্ধে কি পুরোদস্তুর যুদ্ধ শুরু করে দিতে চায় চিন? ছবি: রয়টার্স।

নৌমহড়া শুরু হয়েছিল আগেই। এ বার তাইওয়ানের কাছে নির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করা শুরু করল চিন। বেজিংয়ের তরফে অবশ্য দাবি করা হয়েছে, এটা নিছকই সামরিক মহড়া। সোমবার চিনের সেনাবাহিনীর পূর্বাঞ্চলীয় থিয়েটার কম্যান্ডের তরফে একটি বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে, একাধিক এইচ-সিক্স যুদ্ধবিমান এই মহড়ায় অংশ নিয়েছে। মহড়ায় ব্যবহার করা হয়েছে দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি শ্যানডং বিমানকেও।

Advertisement

গত শুক্রবার থেকেই তাইওয়ানকে ঘিরে নতুন করে নৌযুদ্ধের মহড়া শুরু করে চিন। চিন-তাইওয়ান নয়া সংঘাতের প্রেক্ষাপট অবশ্য রচিত হয়েছিল তার আগেই। বেজিংয়ের আপত্তি উড়িয়ে বুধবারই ক্যালিফোর্নিয়ায় আমেরিকার কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ হাউস অফ রিপ্রেজ়েন্টেটিভসের স্পিকার তথা রিপাবলিকান পার্টির নেতা কেভিন ম্যাকার্থির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছিলেন তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট সাই ইং-ওয়েন। তার পরেই শি জিনপিং সরকার তাইওয়ানের উপর সামরিক আস্ফালন দেখাতে শুরু করে।

Advertisement

গত অগস্টেই চিনের হুঁশিয়ারি উপেক্ষা করে তাইওয়ান সফরে গিয়েছিলেন হাউস অফ রিপ্রেজ়েনটেটিভসের তৎকালীন স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি। তার পরেই ফুজ়িয়ান প্রদেশ লাগোয়া তাইওয়ান প্রণালীর পিংটন দ্বীপের অদূরে আকাশ এবং জলযুদ্ধের মহড়া শুরু করেছিল চিনা সেনা। তাইওয়ান থেকে এই এলাকার দূরত্ব ২০ কিলোমিটারেরও কম। গত সাত দশকের সংঘাত-পর্বে কখনওই তাইওয়ান সীমান্তের এত কাছে চিনা ফৌজের যুদ্ধ মহড়া হয়নি।

চিনা হামলা ঠেকাতে তাইওয়ান ফৌজও প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে পশ্চিমি সংবাদমাধ্যমের একাংশের দাবি। গত আট দশক ধরেই স্বশাসিত তাইওয়ান নিজেদের স্বাধীন অঞ্চল বলেই মনে করে। যদিও তারা চিনের মূল ভূখণ্ড থেকে কখনও আনুষ্ঠানিক ভাবে স্বাধীনতার কথা ঘোষণা করেনি। অন্য দিকে, কমিউনিস্ট পার্টি পরিচালিত একদলীয় চিনের শাসকেরা বরাবরই মনে করেন, তাইওয়ান তাঁদের অংশ। এমনকি তাইওয়ান প্রসঙ্গে অন্য রাষ্ট্রের ‘নাক গলানো’কে দেশের সার্বভৌমত্বের উপর হস্তক্ষেপ বলেই মনে করে এসেছে চিন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement